রাষ্ট্রপতি শাসনের মধ্যেই চলছে সরকার গঠনের প্রস্ততি, সিএমপি-র জন্য তৈরি কমিটি

  • মঙ্গলবার থেকেই মহারাষ্ট্রে জারি রাষ্ট্রপতি শাসন
  • তার মধ্য়েই চলছে অবিজেপি সরকার গঠনের প্রস্তুতি
  • কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম চূড়ান্ত করতে কমিটি গঠন করল কংগ্রেস এবং এনসিপি
  • কমিটিতে দুই দলেরই বিশিষ্ট নেতারা আছেন

 

amartya lahiri | Published : Nov 13, 2019 8:24 AM IST / Updated: Nov 13 2019, 02:11 PM IST

মঙ্গলবার বিকেল থেকেই মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছে। কিন্তু তাই বলে রাজ্য়ে অবিজেপি সরকার গঠনের প্রস্তুতি বন্ধ নেই। শিবসেনার সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠনের জন্য কংগ্রেস চেয়েছিল একটি ন্যুনতম সাধারণ কর্মসূচি বা কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম (সিএমপি) তৈরি করা হোক। বুধবার সকালে কংগ্রেস এবং এনসিপি সেই সিএমপি চূড়ান্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করল। কমিটিতে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রয়েছেন অশোক চভন, পৃথ্বীরাজ চভন, মানিকরাজ ঠাকরে, বালাসাহেব থোরাট এবং বিজয় ওয়াদেটিওয়ার। আর ন্য়াশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির পক্ষ থেকে কমিটিতে রাকা হয়েছে জয়ন্ত পাতিল, অজিত পওয়ার, ছগন ভূজবল, ধনঞ্জয় মুন্ডে এবং নবাব মালিককে।

মঙ্গলবার রাতে সনিয়া গান্ধীর দূত আহমেদ প্যাটেলের সঙ্গে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের বৈঠকে সিএমপির বিষয়টি ওঠে। সূত্রের খবর, রাজ্য পরিচালনার একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ এবং পদ্ধতি চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত সেনা সরকারকে সমর্থন দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। সেইসঙ্গে সাধারণ ন্যুনতম কর্মসূচির খসড়ায় কৃষকদের ঋণ মকুব, বেকারত্ব ভাতা, স্থানীয় যুবকদের চাকরির কোটা-সহ বেশ কয়েকটি বিষয় তাকা বাধ্যতামূলক বলে স্পষ্ট কর দিয়েছে কংগ্রেস।

কংগ্রেস-এনসিপি এই দুই নির্বাচন পূর্ববর্তী জোট-সঙ্গীর নিজেদের অবস্ছান তৈরি। এই অবস্থায় এদিন বিকেলে কংগ্রেস নেতা অশোক চভন, বালাসাহেব থোরাট এবং মানিকরাও ঠাকরে সম্ভবত তাঁদের সেই খসড়া প্রস্তাব নিয়েই আলোচনার জন্য শিবসেনা সভাপতি উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে।

এই প্রস্তুতির পাশাপাশিই রাজ্যপালের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি চালাচ্ছে শিবসেনা। মঙ্গলবারই তারা শীর্ষ আদালতে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করার আবেদন জানিয়েছে। তাদেরকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রদর্শনের জন্য আরও সময় না দেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজ্যপাল বিজেপির কথায় নিয়েছেন বলে অভিযোগ শিবসেনার। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে এই আবেদনের বদলে রাষ্ট্রপতির শাসন জারির বিরুদ্ধে নতুন করে আরও একটি আবেদন করা হতে পারে।

Share this article
click me!