মোরে এলাকায় অনেকগুলি বাড়িতেই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুন লাগানো হয় বন বিভাগের অফিসেও।
ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে। এবার আগুন লাগানো হল ভারত এবং মায়ানমারের সীমান্তে মোরে এলাকায়। বুধবার এই ঘটনা ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকায়। জানা যাচ্ছে বুধবার এলোপাথাড়ি গুই চালানো হয় ভারত এবং মায়ানমারের সীমান্তে মোর এলাকায়। ঘটনায় মারা গিয়েছেন একজন মহিলা কনস্টেবল। এদিন সকালেই আন্তর্জাতিক ওই সীমানার এলাকায় সশস্ত্র দুষ্কৃতী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। শুধু তাই কমান্ডো এবং আধা-সেনার সঙ্গেও গুলির লড়াই শুরু হয়। সকাল সাড়ে ন'টা নাগাদ ওই হামলা হয়। ঘটনায় নিহত এক।
এর পাশাপাশি মোরে এলাকায় অনেকগুলি বাড়িতেই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুন লাগানো হয় বন বিভাগের অফিসেও। এছাড়া এদিন হিংসার খবর এসেছে কাংপোকপি এলাকায়ও। এদিন আগুন লাগানো হয় নিরাপত্তারক্ষীদের দুটি বাসেও। প্রসঙ্গত, ৩ মে সহিংসতার ঘটনা শুরু হওয়ার আগে, সেরু রাজ্যের রাজধানী ইম্ফল থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে একটি মনোরম গ্রাম ছিল। বর্তমানে সেই জায়গায় এখন এখন শুধু পোড়া বাড়ি এবং দেয়ালে বুলেটের গর্ত বাকি আছে। উপত্যকা-সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইটিস এবং পার্বত্য-সংখ্যাগরিষ্ঠ কুকি উপজাতির মধ্যে তফসিলি উপজাতি (এসটি) মর্যাদার দাবিতে মেইটিসদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় এটি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামগুলির মধ্যে এটি একটি ছিল।
জাতিগত সহিংসতা-বিধ্বস্ত মণিপুর থেকে উঠে আসছে একের পর এক অকল্পনীয় ভয়াবহতার ঘটনা। কুকি সম্প্রদায়ের মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তা দিয়ে হাঁটানো ও হেনস্থা করার নারকীয় ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার কয়েকদিনের মাথায় সামনে এল আরও এক ভয়াবহ ঘটনা। কাকচিং জেলার সেরু গ্রামে, সেরু থানায় দায়ের করা একটি মামলা অনুসারে, একজন মুক্তিযোদ্ধার ৮০ বছর বয়সী স্ত্রীকে তার বাড়ির ভিতরে তালাবদ্ধ করে এবং একটি সশস্ত্র দল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। তার স্বামী, এস চুরাচাঁদ সিং, যিনি ৮০ বছর বয়সে মারা যান, একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন যাকে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম সম্মানিত করেছিলেন। ঘটনাটি ২৮ মে এর প্রথম দিকে ঘটেছিল, যখন সেরোর মতো জায়গায় ব্যাপক সহিংসতা এবং বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছিল।