জম্মু ও কাশ্মীরে নজরনন্দি করা হল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লা, পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি এবং সাজ্জাগ লোন-কে। কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে দিনে দিনে যেভাবে জল্পনা বাড়ছে, তার মধ্যে রবিবার রাতেই উপত্যকার এই তিন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক ব্য়ক্তিত্বকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।
তবে কেবল প্রাক্তন এই দুই মুখ্যমন্ত্রীই নয়, এর পাশাপাশি সূত্রের খবর, কংগ্রেস নেতা উসমান মজিদ, সিপিএম বিধায়ক এমওয়াই তারিগামিকেও রাতে আটক করা হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে প্রশাসনের তরফে এখনও কোনও মন্তব্যই করা হয়নি। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইট করে ওমর আবদুল্লা জানিয়েছেন, 'মাঝরাত থেকে আমাকে গৃহবন্দি করে রাখা হচ্ছে বলে জানতে পারলাম, আমি মনে করি সর্বশক্তিমান আল্লাহ'র যা পরিকল্পনা করে রেখেছেন তা ভালর জন্যই। সবাইকে শুভেচ্ছা, সকলে নিরাপদে থাকুন ও শান্ত থাকুন।'
একইভাবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন মেহবুবা মুফতিও। টুইটের মাধ্যমে তিনি নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে লেখেন, 'আমাদের মত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, যাঁরা শান্তিরক্ষার জন্য লড়াই করে চলেছেন, তাঁদের গৃহবন্দি করার মতো বিষয়টা অত্যন্ত আশ্চর্যজনক। গোটা বিশ্ব দেখছে কীভাবে মানুষের মুখ বন্ধ করে রাখার প্রচেষ্টা চলছে। যে কাশ্মীর ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ভারতকে বেছে নিয়েছিল, তাকেই দমন করা হচ্ছে। '
এদিন রাত-ভোর শহরের বিভিন্ন রাস্তায় কড়া পাহাড়ায় মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী। সেখানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট ও কেবল টিভি পরিষেবাও। উপত্যকা থেকে পর্যটকদের ফিরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করার পরই কাশ্মীরের পরিস্থিতি থমথম হয়ে ওঠে। সারা দেশের মানুষের মনে কেবল একটাই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করতে থাকে যে কাশ্মীর নিয়ে কী ভাবছেন কেন্দ্রীয় সরকার। কাশ্মীর নিয়ে কেন মুখে কুলুপ এঁটেছে প্রশাসন। সেই নিয়েই প্রশ্ন তোলেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি, একই সুরে সুর মেলান ওমর আবদুল্লাও।
রবিবার সন্ধ্যায় জম্মু ও কাশ্মীরের এই পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করতে সর্বদলীয় বৈঠক জাকে পিডিপি। আর তারপরই তারপরই উপত্যকার অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাকে গৃহবন্দি করা হয় বলে জানা গিয়েছে।