বেটিং বা জুয়ার সাইটের বিজ্ঞাপন বন্ধ করুন, কড়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের

বেটিং ও জুয়া বিজ্ঞাপন নিয়ে আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। বিজ্ঞাপন বন্ধ করার জন্য মিডিয়ার ওপর চাপ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।

 

বেটিং ও জুয়া বিজ্ঞাপন নিয়ে আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। মিডিয়াকে বেটিং প্ল্যাটফর্মগুলি সম্পর্কে প্রচার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রক। আগামী দিনে আইন লঙ্ঘন করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক একটি বিবৃতি জারি করে মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও অনলাইন বিজ্ঞাপনে জুয়া, বেটিং- এগুলি না দেখানোর পরামর্শ দিয়েছে। জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে মন্ত্রক মূল ধারার ইংরেজি, হিন্দি সংবাদপত্রগুলির বিজ্ঞাপন ও বেটিং ওয়েবসাইটগুলি নিয়ে যাতে প্রচার না করা হয় তার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ করতে পিছপা হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে এটি শুধুমাত্র সংবাদপত্রের জন্য নয়, এটি সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন সংবাদ প্রকাশক সহ সমস্ত মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের জন্যই প্রযোজ্য। সাম্প্রতিক সময়ে মিডিয়াতে এই ধরনের প্রচুর বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে বলেও মন্ত্রক জানিয়েছে।

Latest Videos

মন্ত্রক একটি নির্দিষ্ট বেটিং ফ্ল্যাটফর্মের দ্বারা প্রচারের বিষয়েও আপত্তি জানিয়েছে, দর্শকদের তার ওয়েবসাইটে একটি স্পোর্ট লিগ দেখতে উৎসাহিত করে। যা প্রথামিকভাবে কপিরাইট আইন ১৯৫৭ -র লঙ্ঘন বলেও মনে করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকায় আইনগত বাধ্যবাধকতার পাশাপাশি মিডিয়ার নৈতিক দায়িত্বেরও পরেও জোর দেওয়া হয়েছে। উপদেষ্টা প্রেস কাউন্সিলের সাংবাদিতকামূলক আতপণের নিয়মের বিধানগুলিকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রক জানিয়েছে PRB আইন, ১৮৬৭ এর ধারা ৭ এর অধীনে বিজ্ঞাপন সহ সমস্ত বিষয়বস্তুর জন্য সম্পাদকের দায়িত্বের পরিপ্রেক্ষিতে নৈতিক এবং আইনগত দিক থেকে বিজ্ঞাপনের ইনপুটগুলি যাচাই করা উচিত। রাজস্ব উত্পাদন একা প্রেসের একমাত্র লক্ষ্য হতে পারে না এবং হওয়া উচিতও নয়, অনেক বৃহত্তর জনসাধারণের দায়বদ্ধতা।

পাশাপাশি মন্ত্রক জানিয়ে ২০২২ সালে জুন ও অক্টোবরেও এজাতীয় নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ২০২২ সালে ডিসেম্বরে অনলাইনে জুয়া বা বেটিং-এর বিজ্ঞাপনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। গুগল ইন্ডিয়াকে চিঠিও পাঠান হয়েছিল এজাতীয় বিজ্ঞাপনগুলিকে সরিয়ে ফেলতে বলা হয়েছিল। ডিজিটাল সংবাদ মাধ্য়মের পোর্টালেও এজাতীয় বিজ্ঞাপন নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।

বর্তমানে অনলাইন বেটিং সংস্থার খপ্পরে পড়ে অনেক ভারতীয় টাকা খোযাচ্ছে। সর্বশান্ত হচ্ছে। কিন্তু ভারতে এই জাতীয় সংস্থাগুলির কোনও নির্দিষ্ট অফিস নেই। তাই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। এই কারণেই দেশের বিভিন্ন রাজ্য ইতিমধ্যেই অনলাইন বেটিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের মতে এজাতীয় বেটিং গেমস সমাজের জন্য অত্যান্ত খরিকর। এটি দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থার ওপর প্রভাব ফেলছে। শিশু ও কিশোররা প্রভাবিত হচ্ছে। অল ইন্ডিয়া গেমিং ফেডারেশনের মতে প্রতিমাসে এজাতীয় সংস্থাগুলির মধ্যমে তাদের অ্যাকাউন্টে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা জমা পডছে। কিন্তু সেই টাকা কোথায় যাচ্ছে তার কোনও হিসেব বা স্বচ্ছতা নেই।

Share this article
click me!

Latest Videos

Live: মথুরাপুরে সদস্যতা অভিযান অগ্নিমিত্রা পালের, দেখুন সরাসরি
Suvendu Adhikari Live: বিধানসভার বাইরে মুখোমুখি শুভেন্দু অধিকারী, দেখুন সরাসরি
'বালি চুরি, কয়লা চুরিতে যুক্ত পুলিশদের একাংশ' বিস্ফোরক মন্তব্য মমতার | Mamata Banerjee
উপনির্বাচনে (By Election) কেমন ফল করবে বিজেপি? দেখুন কী বললেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
হঠাৎ করে TMC নেতারা পুলিশের বিরুদ্ধে কেন? কী উদ্দেশ্যে? প্রশ্ন অগ্নিমিত্রার | Agnimitra Paul