গত সপ্তাহে চারদিন ধরে ভয়ানক হিংসার শিকার হয়েছে দিল্লি
এবার সেই হিংসা নিয়ে রিপোর্ট দিল সংখ্যালঘু কমিশন
হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্বৃত্তদের দিকেই তোলা হল আঙুল
তাদের মতে হিংসা ছিল একপাক্ষিক ও সুপরিকল্পিত
হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্বৃত্তরাই উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সুপরিকল্পিতভাবে হিংসা ছড়িয়েছে। গত সপ্তাহের চারদিন ধরে চলা দিল্লি হিংসা বিষয়ে তাদের প্রতিবেদনে এমটাই দাবি করল দিল্লি সংখ্যালঘু কমিশন। তারা আরও বলেছে যে এই অত্যাচারে হাজার হাজার মানুষ দিল্লি শহর ছেড়ে উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানায় নিজেদের গ্রামের বাড়িতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দিল্লি সংখ্যালঘু কমিশন বা ডিএমসি-র চেয়ারম্যান জাফরুল ইসলাম খান এবং অন্যতম সদস্য কর্তার সিং কোছর হিংসা-কবলিত এলাকায় সফরের পর এই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন।
এই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে দিল্লির হিংসা ছিল একেবারেই 'একতরফা এবং সুপরিকল্পিত'। কিছু হিন্দু মহল্লার ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হলেও 'সর্বাধিক' ক্ষতির মুখে পড়েছে মুসলমানদের ঘরবাড়ি ও দোকানপাটই। সর্বস্ব খুইয়ে প্রাণ বাঁচাতে দিল্লির মপসলিম সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার মানুষ উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানায় তাদের গ্রামে চলে গিয়েছেন। কেউ কেউ দিল্লিরই অন্যান্য অংশে আত্মীয়দের সঙ্গে আছেন। শয়ে শয়ে পরিবার এখনও সংখ্যালঘু কমিশন ও দিল্লি রাজ্য সরকারের পরিচালিত আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছেন।
জাফরুল খান জানিয়েছেন, ডিএমসি-র দল উত্তর-পূর্ব দিল্লির চাঁদবাগ, জাফরাবাদ, ব্রিজপুরি, গোকুলপুরি, মুস্তাফাবাদ, শিববিহার, যমুনা বিহার, ভজনপুর এবং খাজুরি খাস-সহ বিভিন্ন হিংসা-ধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে। যেখানেই গিয়েছেন তারা দেখেছেন, বেছে বেছে মুসলিমদের বাড়িঘর, দোকানপাট, স্কুল ও যানবাহনের ক্ষতি করা হয়েছে।
বড় মাপের সাহায্য না এলে এইসব মানুষ তাদের জীবন ফের গড়ে তুলতে পারবে না বলেই মূল্যায়ন করেছে ডিএমসি। দিল্লি সরকার যে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে তা পর্যাপ্ত নয় বলেই জানানো হয়েছে রিপোর্টে। ডিএমসি-র দলটি দিল্লি পুলিশ-এর পদস্থ কর্তাদের সঙ্গেও দেখা করে। পুলিশ কমিশনকে বলেছে, হিংসায় আটকে পড়া শত শত মানুষকে তারা উদ্ধার করেছে।