ছয় লেনের সড়ক নির্মাণের কারণে বন্য প্রাণীদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় এবং তারা সহজে রাস্তা পার হতে পারে সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই করিডোরে ২.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ছয় লেনের টানেল তৈরি করা হবে।
শুক্রবার ছত্তিশগড় সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি ছয় লেনের রায়পুর বিশাখাপত্তনম গ্রিনফিল্ড করিডোরের ছত্তিশগড় অংশের সাথে সম্পর্কিত তিনটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এই করিডোরটি উদন্তী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এলাকার মধ্য দিয়ে যাবে। পশুদের চলাচলের জন্য ২৭টি স্থানে টানেল তৈরি করা হবে
ছয় লেনের সড়ক নির্মাণের কারণে বন্য প্রাণীদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় এবং তারা সহজে রাস্তা পার হতে পারে সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই করিডোরে ২.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ছয় লেনের টানেল তৈরি করা হবে। এই টানেলগুলি এমন ২৭টি জায়গায় তৈরি করা হয়েছে যেখানে বন্য প্রাণীর চলাচল বেশি। এ ধরনের এলাকায় যানবাহন সুড়ঙ্গের ভেতর থেকে বেরিয়ে যাবে। ওপরে বন্য প্রাণী কোনো সমস্যা ছাড়াই বিচরণ করতে পারবে।
বানরদের জন্য ১৭টি মাঙ্কি ক্যানোপি তৈরি করা হবে
বানরদের যাতে রাস্তা পার হতে সমস্যা না হয় সেজন্য ১৭টি বানরের ছাউনি তৈরি করা হবে। এগুলো হবে রাস্তার ওপর দড়ি ও কাঠের তৈরি সেতুর মতো, যার ওপর দিয়ে বানররা রাস্তা পার হতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভিশনের অধীনে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেখানে মহাসড়ক নির্মাণের ফলে বন্যপ্রাণীর উপর ন্যূনতম প্রভাব পড়ার কথা বলা হয়েছে।
বন্যপ্রাণীদের নিরাপদ যাতায়াতের কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সরকারে এরকম অনেক জাতীয় মহাসড়ক এবং এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়ন যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে, নরেন্দ্র মোদী দিল্লি-দেরাদুন অর্থনৈতিক করিডোরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এটিতে এশিয়ার বৃহত্তম ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ বন্যপ্রাণী উচ্চ করিডোর রয়েছে। এতে কোনো ঝামেলা ছাড়াই বন্য প্রাণীদের চলাচলের সুবিধা হয়েছে। ছত্তিশগড় ছাড়াও ৭ ও ৮ জুলাই উত্তরপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও রাজস্থান সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই সময়ে, তিনি প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার প্রায় ৫০টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এসব প্রকল্পে বন্যপ্রাণীর চাহিদারও খেয়াল রাখা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তারপরে ওয়ারাঙ্গল থেকে বিকানেরে যাবেন, যেখানে তিনি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন এবং একাধিক প্রকল্প উত্সর্গ করবেন। প্রধানমন্ত্রী অমৃতসর জামনগর এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন অংশ উৎসর্গ করবেন। তিনি গ্রিন এনার্জি করিডোর ফেজ- I-এর জন্য আন্তঃ-রাজ্য ট্রান্সমিশন লাইনও উৎসর্গ করবেন। প্রধানমন্ত্রী বিকানের রেলওয়ে স্টেশনের পুনর্নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন। এরপর বিকানেরে জনসভায় যোগ দেবেন তিনি।