চলতি বছর স্বাধীনতা দিবসের দিন তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর লক্ষে একজন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) বা প্রতিরক্ষা প্রধান নিয়োগের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তারপর তিন মাস কেটে গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে সিডিএস নিয়োগের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। সবকিছু ঠিক থাকলে পরের মাসে, অর্থাৎ ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ভারত তার প্রথম চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বা প্রতিরক্ষা প্রধান -কে পাবে।
কারা কারা এই নয়া সামরিক পদের জন্য উপযুক্ত বাছাইয়ের জন্য মোদী মন্ত্রীসভার নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রীগোষ্ঠীর আওতায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নেতৃত্বে একটি ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটি গঠন করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে সেই কমিটি নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রীগোষ্ঠীর কাছে তাদের রিপোর্চ পেশ করেছে। সেখানে উল্লিখিত নামগুলি থেকেই একজনকে বেছে নেওয়া হবে ভারতের প্রথম সিডিএস হিসেবে।
চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন তিন বাহিনীর বর্তমান তিন প্রধানই। এছাড়া সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে এক সরকারি সূত্র জানিয়েছে, সিডিএস-এর জন্য যোগ্য কমান্ডার ইন চিফ ব়্যাঙ্কের অফিসারদের নাম চাওয়া হয়েছিল তিন বাহিনীর কাছেই। তারা সেই নাম জমা দেয় অজিত ডোভালের কমিটির কাছে। সম্ভবত সবকটি নামের মধ্যে যিনি অভিজ্ঞতায় সবচেয়ে এগিয়ে তাঁকেই এই পদে নিয়োগ করা হবে।
অজিত ডোভালের ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটি অবশ্য শুধু সিডিএস-এর নাম বাছাই করেনি, একইসঙ্গে তার কাজের পরিধি কী হবে, এই পদের বয়সসীমা, ক্ষমতা - সবই ঠিক করেছে। জানা গিয়েছে ডোভালের কমিটির পরামর্শ চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ-এর বয়স হবে ৬৪ বছরের নিচে। সরকারে পদমর্যাদার দিক থেকে তিনি একাদশের ক-তম স্থানে থাকবেন। বর্তমানে মন্ত্রীসভার সচিবরা আছেন একাদশতম স্থানে। আর তিন বাহিনীর প্রধানরা পদমর্যাদায় দ্বাদশতম। অর্থাৎ, প্রতিরক্ষা প্রধানের পদমর্যাদা হবে তিন বাহিনীর প্রধানের উপরে কিন্তু মন্ত্রীসভার সচিবদের নিচে। সেনা, নৌ ও বায়ুসেনা বাহিনীর পাশাপাশি নতুন গঠিত সাইবার, স্পেস ও স্পেশাল অপারেশনস বাহিনীও কাজ করবে চিফ অব ডিফন্স স্টাফের নির্দেশেই।