আফগানিস্তান সংকট নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে দিলেন সকল বিরোধী দলনেতাকে জাননোর দায়িত্ব।
আফগানিস্তানের সংকট নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল মোদী সরকার। আফগানিস্তানে ভারত সরকার যে বিশাল পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে, সেগুলির ভবিষ্যত এবং আগামী দিনে আফগানিস্তান নিয়ে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সেই সম্পর্কে বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করতে চাইছে কেন্দ্র, এমনটাই জানা গিয়েছে।
সোমবার সকলেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর টুইট করে জানিয়েছিলেন, আফগানিস্তানের উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিদেশ মন্ত্রককে, এই বিষয়ে সংসদের উভয় কক্ষের সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদের অবহিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানাবেন।
এরপরই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইটেই প্রশ্ন করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে কেন বিরোধী দলগুলিকে এই বিষয়ে কিছু বলছেন না? পরে অবশ্য টুইটটি মুছে দেন রাহুল। এরপর জানা যায়, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ২৬ অগাস্ট, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় আফগানিস্তান ইস্যুতে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন।
আফগানিস্তানে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিক এবং আফগান মিত্রদের সেখান থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য ভারত সবরকম চেষ্টা করছে। কাবুলকে প্রতিদিন ভারতে দুটি উড়ান পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ভারত সরকার আশ্বাস দিয়েছে, শুধু হিন্দু ও শিখদেরই নয়, অন্যান্য আফগান নাগরিকদেরও সাহায্য করা হবে।
রবিবারই ভারতের সি-১৭ বিমানে আফগানিস্তান থেকে ১৬৮ জনকে ভারতে আনা হয়েছে। এর মধ্যে ভারতীয় ছিলেন ১০৭ জন। বাকিদের মধ্যে দুই আফগান শিখ নেতা আনারকলি হনায়ার এবং নরেন্দ্র সিং খালসাও ছিলেন। আরও তিনটি বিমানে আফগানিস্তান থেকে ভারতীয়দের আনা হচ্ছে। জানা গিয়েছে এই বিমানগুলি এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো এবং ভিস্তারার। তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবে এবং কাতারের রাজধানী দোহা হয়ে বিমানগুলি দিল্লিতে আসবে।