মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন হতেই এবার প্রধানমন্ত্রী নিয়ে মুখ খুললেন এনসিপি প্রধান। শরদ পাওয়ার জানিয়েছেন, রাজ্যে সরকার গড়ার আগে একসঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এক মারাঠি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য় করেছেন পাওয়ার।
উদ্ধব ঠাকরেকে সামনে রেখে মহারাষ্ট্রে জোট সরকার গঠন করেছে শিবসেনা, এনসিপি, কংগ্রেস। কমন মিনিমাম প্রোগ্রামের ওপর ভরসা করে রাজ্যে তিন দলের সরকার চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিবসেনা। সেখানে সরকার গড়তে না পেরে বিরোধী আসনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফড়নবীশের বিজেপি। যদিও মহারাষ্ট্রে ফল বেরোনোর পর মোদী-পওযার বৈঠক ঘিরে শুরু হয় জল্পনা। অনেকেই বলতে থাকেন, শিবসেনা পাশে না দাঁড়ালেও ক্ষতি নেই। বিজেপি মহারাষ্ট্রে এনসিপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়বে। নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে সেই সলতে পাকানোর কাজ করতে গিয়েছেন শরদ পাওয়ার।
যদিও বাস্তবে দেখা যায় অন্য চিত্র। মোদী নয়, কংগ্রেস-শিবসেনার সঙ্গে মিলে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ায় সহযোগিতা করে এনসিপি। আর ক্ষমতায় বসেই প্রথম বোমাটা ফাটালেন এনসিপি প্রধান। এক মারাঠি চ্য়ানেলে শরদ পাওয়ার বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই তাঁকে একসঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রস্তাব সঙ্গে সঙ্গে ফিরিয়ে দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে শরদ বলেন, ব্য়ক্তিগত স্তরে আমাদের সম্পর্ক ভালো। আগামী দিনেও সেই সম্পর্ক বজায় থাকবে। তবে রাজনীতির রাস্তায় একসঙ্গে কাজ করতে পারব না আমি।
রাজনীতির কারবারীরা বলেন, এনসিপিকে পাশে পেতে শরদ পাওয়ারকে রাষ্ট্রপতি হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মোদী। যদিও এই কথা স্বীকার করেননি পাওয়ার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এরকম কোনও প্রস্তাব মোদীর তরফ থেকে পাননি তিনি। তবে তাঁর মেয়েকে মোদীর মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়ার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পুণের বারামতী থেকে লোকসভার সাংসদ শরদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে।
মহারাষ্ট্রের রাজনীতির সাম্প্রতিক অতীত বলছে, বিধানসভার ভোট প্রচারে এসেও এনসিপি প্রধান নিয়ে কোনও সামালোচনা করেননি মোদী। উল্টে রাজ্যসভায় পাওয়ারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্র মেনে কীভাবে কাজ করতে হয়, তা শরদ পাওয়ারের থেকে শেখা উচিত বিজেপি সহ অন্য় দলগুলির। তবে দেখা গেল, রাজনীতির আঙিনায় মোদীর একাধিক প্রশংসাপত্র কাজে এল না। শেষমেশ মোদীর প্রস্তাবে রাজি হলেন না পাওয়ার।