কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদী - জিনপিং

সৈকত নগরী মামাল্লাপুরমে বৈঠকে মোদী-জিনপিং
২ রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ঘরোয়া বৈঠক
কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক
বুধবার ইমরানের সঙ্গে বৈঠক করেন জিনপিং

debojyoti AN | Published : Oct 11, 2019 5:27 AM IST / Updated: Oct 11 2019, 11:22 AM IST


ঘরোয়া বৈঠকে আজ চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর মুখোমুখি হচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে যোগ দিতে দুপুরেই চেন্নাই এসে পৌঁছবেন জিনপিং। এরপর তামিলনাড়ুর মামাল্লাপুরমে ঘরোয়া বৈঠকে বসবেন দুই রাষ্ট্রনেতা। মোদী ও জিনপিং-এর এটাই দ্বিতীয় ঘরোয়া বৈঠক। এরআগে ডোকলাম উত্তেজনার আবহে ২০১৮ সালে প্রথমবার বৈঠকে বসেছিলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। 

বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বিষয়ে কথা হবে এই ঘরোয়া বৈঠকে। গত বুধবরাই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করেন জিনপিং। কাশ্মীর পরিস্থিতির ওপর তিনি নজর রাখছেন বলে জানান। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর আন্তর্জাতিক আঙিনায় কার্যত পাকিস্তানের পাশে থেকেছে চিন। রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকেও সেই ইজ্ঞিত মিলেছিল। আর এমন এক আবহে দুই রাষ্ট্রনেতার এই ঘরোয়া বৈঠক তাই আন্তর্জাতিক মহলের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ। মোদীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত থআকবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা  অজিত ডোভাল। 

দুই দেশের মধ্যে ৩,৫০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে, সেই নিয়েও এই ঘরোয়া বৈঠকে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে চিনা প্রেসিডেন্টের আগমন ঘিরে সেজে উঠছে মামাল্লাপুরম শহর। সপ্তম ও অষ্টম শতাব্দীতে গড়ে উঠেছিল এই ঐতিহাসিক শহর। যার সঙ্গে রয়েছে চিনের যোগ। তাই চিনা প্রেসিডেন্টের আগমন ঘিরে কড়া নিরাপত্তা গোট সমুদ্র নগরী জুড়ে। ইউনেস্কোর হেরিটেজ শহরগুলির মধ্যে রয়েছে মামাল্লাপুরমও। বৈঠকের পর এখানকার তিনটি দ্রষ্টব্যস্থান ঘুরে দেখবেন জিনপিং। শনিবার সকালে এখানকার রিসর্টে হবে ঘরোয়া বৈঠক।  সেখানেই হবে প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনা। এরপর শনিবার দুপুরেই ভারত ছাড়বেন জিনপিং।
 

Share this article
click me!