কাজের চেয়েও বেশি সময় ধরে মুলতুবি! বাদল অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহে লজ্জা দেবে সংসদের কাজ

বাদল অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহে, সংসদ ১৮ ঘন্টা ৪৪ মিনিটের জন্য নির্ধারিত ছিল, তবে বাধা এবং জোর করে মুলতবি হওয়ার কারণে হাউসের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়েছে। এই সময়ে, শুক্রবার মাত্র আড়াই ঘন্টা আলোচনা হয়েছিল, যা পুরো সপ্তাহে হাউসের মোট কাজের সময়ের ৩৭ শতাংশ। এতে স্বাস্থ্য অধিকার সংক্রান্ত প্রাইভেট মেম্বার বিল নিয়ে আলোচনা করেন সাংসদরা।

Parna Sengupta | Published : Jul 24, 2022 2:25 AM IST

বাদল অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহে, রাজ্যসভায় মাত্র ২৬.৯ শতাংশ আলোচনা করা সম্ভব হয়েছে। ১৩ ঘন্টা ২৮ মিনিটের মূল্যবান সময় বিভিন্ন ইস্যুতে হট্টগোল এবং এর ফলে সংসদ মুলতবি হওয়ার কারণে নষ্ট হয়েছে। প্রকাশিত তথ্যে জানা গিয়েছে প্রথম তিন দিন, সংসদের কার্যবিবরণী চলে মাত্র এক ঘণ্টা ১৬ মিনিট অর্থাৎ ৭৬ মিনিট। তবে সপ্তাহের শেষ দুই দিন বৃহস্পতি ও শুক্রবার কাজের সময়ের উন্নতি হয় এবং এ সময় সংসদের কার্যক্রম চলে ৫ ঘণ্টা ৩১ মিনিট।

বাদল অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহে, সংসদ ১৮ ঘন্টা ৪৪ মিনিটের জন্য নির্ধারিত ছিল, তবে বাধা এবং জোর করে মুলতবি হওয়ার কারণে হাউসের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়েছে। এই সময়ে, শুক্রবার মাত্র আড়াই ঘন্টা আলোচনা হয়েছিল, যা পুরো সপ্তাহে হাউসের মোট কাজের সময়ের ৩৭ শতাংশ। এতে স্বাস্থ্য অধিকার সংক্রান্ত প্রাইভেট মেম্বার বিল নিয়ে আলোচনা করেন সাংসদরা।

গত সপ্তাহে, ৭৫টি তালিকাভুক্ত প্রশ্নের মধ্যে, ২২টি তারাযুক্ত প্রশ্নের মৌখিক উত্তর সংসদে দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার বেসরকারি সদস্য দিবসের দিন সংসদ সদস্যরা ৯টি বেসরকারি বিল সামনে পেশ করেন।

সংসদের এই অচলাবস্থার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল তৃণমূল। সংসদে কাজ হয় না বলে অভিযোগ জানিয়ে লোকসভার স্পীকার ওম বিড়লার ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক বয়কট করেছিল তারা। বাংলার শাসকদলের অভিযোগ ছিল মোদী সরকার বিরোধীদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই সিদ্ধান্ত নেয়। তাই তারা বৈঠক বয়কট করছে। তৃণমূলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে ওম বিড়লাকে চিঠিও লেখেন। 

শনিবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টুইট করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়ন। তিনি বলেন সংসদে কখনও কোনও জনকেন্দ্রিক বিষয়ে কেন্দ্র আলোচনার অনুমোদন দেয় না। সংসদীয় গণতন্ত্রকে বিজেপি উপহাস করে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এখানেই শেষ করেননি তৃণমূল সাংসদ। তিনি সংসদীয় অধিবেশনের আগে সর্বদলীয় বৈঠক নিয়েও কটাক্ষ করেছেন। বলেছেন, 'সর্বদলীয় বৈঠকে আলোচনার ভান করা হয়। তাই তৃণমূল কংগ্রেস এজাতীয় বৈঠকে থাকে নেই।' ডেরেক আরও বলেন প্রথমে সরকার পক্ষ বলে তারা সব বিষয়ে আলোচনায় ইচ্ছুক। কিন্তু পরে তারা বিরোধীদের উপেক্ষা করেই চলে। 

সম্প্রতি সংসদে অসংসদীয় শব্দ প্রয়োগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফ থেকে এমনই ঘোষণা করা হয়েছিল। যা নিয়ে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দেশের রাজনীতি। বিরোধীরা ক্রমাগত আক্রমণ করেছিল মোদী সরকারকে। এই অবস্থায় আসরে নেমেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। জানিয়েছেন কোনও শব্দই পার্লামেন্টে নতুন করে নিষিদ্ধ করা হয়নি। এই তালিকাটি ছিল যা নিছকই একটি অভিব্যক্তির সংকলন, যা অতীরে রেকর্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই তালিকাই নতুন করে প্রকাশ করা হয়েছে। 

Read more Articles on
Share this article
click me!