মুম্বইয়ের জীবনযাত্রার এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হলেন ডাব্বাওয়ালারা। জীবনযাত্রার খরত ভারতের অন্যান্য শহরের চেয়ে অনেক বেশি বাণিজ্য নগরীতে। জীবনযুদ্ধে নেমে শহরবাসী কাকভোরে বের হন বাড়ি থেতেয ট্রেনে, বাসে সফর করে পৌঁছন নিজেদের কর্মস্থলে। অত ভোরে বাড়িতে রান্না হয়ে ওঠে না। কিন্তু বাইরে খেলে আবার অতিরিক্ত পয়সা খরচ। আর তাই মুম্বইবাসীর মুশকিল আসান করতে হাজির হন ডাব্বাওয়ালারা। কর্মচারীদের বাসা থেকে দুপুরের খাবার নিয়ে তাদের অফিসে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে দেন তারা। কিন্তু করোনা আতঙ্কে এবার সেই কাজ থেকে অব্যাহতি নিচ্ছেন ডাব্বাওয়ালারা।
আরও পড়ুন: বউকে লুকিয়ে বান্ধবীর সঙ্গে ইতালি ভ্রমণ, করোনার থাবায় ফাঁস হয়ে গেল সিক্রেট
আরও পড়ুন: ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৫১, বারাণসী ও হরিদ্বারে বন্ধ হল বিখ্যাত গঙ্গা আরতি
গোটা বিশ্বের মতই করোনার গ্রাসে এখন ভারতও। আক্রান্তের সংখ্যা রোজ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। দেশের রাজ্যগুলির মধ্যে সমবেচেয় খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রের। এখনও পর্যন্ত এই রাজ্যে ৪৭ জনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। দেশে করোনায় তৃতীয় মৃত্যুটিও ঘটেছে মুম্বইতে। পরিস্থিতি সামলাতে সব ধরণের সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে প্রশাসন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছএ স্কুল, কলেজ। বৃহন্মুম্বই পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৫০ শতাংশ দোকান বন্ধ রাখার। পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে সিবিএইই ও আইসিএসই-র। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডাব্বাওয়ালারাও। শুক্রবার থেকে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত তাঁরা কাজ করবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুম্বইয়ের লাইফ লাইন লোক্যাল ট্রেন সরকার বন্ধ না করলেও সংক্রমণ ঠেকাতে শহরবাসীকে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। পাশাপাশি বিদেশ ফেরত যাত্রীরা যাতে নিজের ভ্রমণ বিবরণ লুকিয়ে না রাখেন সেই অনুরোধ করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী।