হতাশায় বাবরি রায় মেনে নিচ্ছে মুসলিম সমাজ, অন্যদিকে চলছে চ্যালেঞ্জ জানানোর প্রস্তুতিও

বাবরি রায় মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই

এমনটাই মনে করছে বিচার ব্যবস্থায় আস্থা হারানো মুসলমান সমাজ

অন্যদিকে আবার আরেক অংশে জন্মেছে প্রবল ক্ষোভ

সেখানে চলছে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানোর প্রস্তুতি

 

amartya lahiri | Published : Sep 30, 2020 1:53 PM IST

বিশেষ সিবিআই আদালত বুধবার বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার ৩২ জন অভিয়ুক্তকেই বেকসুর খালাস দিয়েছে। আদালত বলেছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত কোনও ষড়ষন্ত্রের প্রমাণ নেই। তবে এতেই আদবানি, উম ভারতীর মতো বিজেপি নেতা নেত্রীরা রেহাই নাও পেতে পারেন। বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি এবং মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড সিবিআই আদালতের রায়কে উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করতে চলেছে। তবে মুসলিম সমাজের একাংশের মধ্য দেখা যাচ্ছে চরম হতাশা। তাঁরা মনে করছেন, ভারতে থাকতে গেলে সমানাধিকারের ভাবনা ভুলেই থাকতে হবে।

বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটির আহ্বায়ক জাফরিয়াব জিলানী বলেছেন, কোনও প্রমাণের ভিত্তিতে বা আইন অনুসারে সিবিআই আদালতের এই রায় দেয়নি। তাঁর অভিযোগ, এই মামলার অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্কত করার মতো অনেক বড় বড় প্রমাণ রয়েছে। এই রায়কে তাঁরা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করবেন বলে জানিয়েছেন জিলানী। অল

ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড-ও একই কথা বলেছে। বোর্ডের সদস্য মৌলানা খালিদ রশিদ ফিরঙ্গি মহালী বলেছেন, এদিনের রায় দেশের বিচার বিভাগের উপর থেকে বিশ্বাস টলিয়ে দিয়েছে। সকলেই জানেন, ১৯৯২ সালে কীভাবে বাবরি মসজিদকে কোরবানি দেওয়া হয়েছিল। এমনকী সুপ্রিম কোর্ট-ও রাম মন্দির রায়ের সময় অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসকে বেআইনী বলে স্বীকার করেছিল। এই অবস্থায় তাঁরাও উচ্চ আদালতে যেতে পারেন। বিশিষ্ট শিয়া আলেম মৌলানা কালবে জাওয়াদ-এর প্রশ্ন 'যদি সমস্ত অভিযুক্তই বেকসুর হয়, তবে মসজিদটি ভাঙল কারা? নাকি মসজিদটি আদৌ ভাঙাই হয়নি?

তবে যারপরনাই হতাশ অযোধ্যা জমি বিতর্ক মামলার মুসলিম পক্ষের অন্যতম প্রধান মামলাকারী ইকবাল আনসারী। তিনি, বলছেন অযোধ্যার মসজিদে কী ঘটেছিল তা কোনও গোপন ঘটনা নয়। কিন্তু, সিবিআই আদালত সকলকে খালাস দেওয়ায় তাদের সিদ্ধান্তটি মেনে নিতে তাঁরা বাধ্য। এছাড়া কোনও বিকল্প নেই বলেই মনে করছেন তিনি। সাধারণ মুসলমান সমাজের বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিরাও বলছেন, আদালত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা মেনে নেওয়া ছাড়া তাদের আর কিছু করার নেই। বাবরি মসজিদ ধ্বংস গুরুতর অপরাধ মেনেও সুপ্রিম কোর্ট সেখানকার জমির মালিকানা দিয়েছিল হিন্দু পক্ষ কে। আর এদিন, যারা গর্ব সহকারে সেই ধ্বংসের কৃতিত্ব নিয়েছিল তাদের অপরাধ মুছে ফেলা হল। কাজেই যতই আপত্তি থাকুক মেনে নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই।

 

Share this article
click me!