করোনা রুখতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী, কি কি নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করা হয়েছিল যে ভারতে ২০২২ সালের ২২শে ডিসেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে দৈনিক গড় করোনা কেস ১৫৩। সাপ্তাহিক পজেটিভিটি ০.১৪%-এ নেমে এসেছে। তবে গত ছয় সপ্তাহ ধরে বিশ্বব্যাপী ৫.৯ লক্ষ দৈনিক গড় কেস রিপোর্ট করা হয়েছে।

Web Desk - ANB | Published : Dec 22, 2022 2:04 PM IST

দেশের করোনা পরিস্থিতি কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে, খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার এক উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ছিল দেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও সরবরাহের প্রস্তুতি, দেশে টিকাদান অভিযানের অবস্থা এবং নতুন কোভিড-১৯ রূপের সংক্রমণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আদান প্রদান।

নীতি আয়োগের সদস্য ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সচিব দেশে ক্রমবর্ধমান কেস সহ বিশ্বব্যাপী কোভিড - ১৯ পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি বিস্তৃত তথ্য দিয়েছেন। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকেও অবহিত করা হয়। প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করা হয়েছিল যে ভারতে ২০২২ সালের ২২শে ডিসেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে দৈনিক গড় করোনা কেস ১৫৩। সাপ্তাহিক পজেটিভিটি ০.১৪%-এ নেমে এসেছে। তবে গত ছয় সপ্তাহ ধরে বিশ্বব্যাপী ৫.৯ লক্ষ দৈনিক গড় কেস রিপোর্ট করা হয়েছে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আত্মতুষ্টির বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন এবং কঠোর নজরদারির পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে কোভিড এখনও শেষ হয়নি এবং বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলিতে চলা নজরদারি ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী সমস্ত স্তরে সম্পূর্ণ কোভিড পরিকাঠামো সরঞ্জাম, প্রক্রিয়া এবং লোকবল বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। অক্সিজেন সিলিন্ডার, পিএসএ প্ল্যান্ট, ভেন্টিলেটর এবং লোকবল সহ হাসপাতালের পরিকাঠামো জোরদার করার ওপরে জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী আধিকারিকদের পরীক্ষা এবং জিনোমিক সিকোয়েন্সিং প্রচেষ্টা বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যগুলিকে দৈনিক ভিত্তিতে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য মনোনীত INSACOG জিনোম সিকোয়েন্সিং ল্যাবরেটরিজ (lGSLs) এর সাথে বৃহত্তর যতবেশি সংখ্যায় সম্ভব নমুনা ভাগ করতে বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সবসময় কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন। বিশেষ করে আসন্ন উত্সব মরসুমকে সামনে রেখে জনাবহুল এলাকায় মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও অনুরোধ করেছেন যে সতর্কতা ডোজ বিশেষত দুর্বল এবং বয়স্ক গোষ্ঠীর জন্য উত্সাহিত করা যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছিল যে ওষুধ, ভ্যাকসিন এবং হাসপাতালের বেডের বিষয়ে পর্যাপ্ত সংখ্যা রয়েছে। তিনি প্রয়োজনীয় ওষুধের প্রাপ্যতা ও দাম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শ দেন।

বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া, বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার, প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব পি কে মিশ্র, নীতি আয়োগের সিইও পরমেশ্বরন আইয়ার, নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভি কে পল, ক্যাবিনেট সেক্রেটারি রাজীব গৌবা, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের উপদেষ্টা অমিত খারে, স্বরাষ্ট্র সচিব এ.কে. ভাল্লা।

Share this article
click me!