সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান পালন শুরু হয়েছে। সঙ্গে চলচে নির্মলা সীতারমণের পঞ্চম বাজেশ পেশের চূড়ান্ত প্রস্তুতি।
1. প্রথা মেনেই অনুষ্ঠিত হল ঐতিহ্যগত হালুয়া অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্রীয় বাজেট প্রস্তুতি প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পর্যায় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ , কেন্দ্রীয় অর্থপ্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী, ভাগবত কিষানরাও কারাদের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। অর্থ মন্ত্রক থেকে একটি বিবৃতি জারি করে জানান হয়েছে এই কথা। বলা হয়েছে নর্থব্লকে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতেই চুড়ান্ত বাজেট প্রস্তুতি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। বাজেট তৈরি ' লক-ইন' প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে প্রতি বছরই এই অনুষ্ঠান করা হয়। অর্থমন্ত্রকের কর্মী ও আধিকারিকদের হালুয়া তৈরি করে তা নিজে হাতে পরিশেবন করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তারপর মন্ত্রকের কর্মী ও আধিকারিকরার বিচ্ছিন্ন হয়ে যান সকলের থেকে। এই অনুষ্ঠানের পরই কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের কর্মী ও আধিকারিকরা, যারা গত ১০ দিন ধরে বাজেটের খসড়া তৈরি করেছিলেন তারা চলে যান নর্থব্লকের বেসমেন্টে। ১ ফেব্রুয়ারি নির্মালা সীতারমণ বাজেট পেশ না করা পর্যন্ত তাঁরা সেখানেই থাকেন। এর উদ্দেশ্য হল বাজেটের কোনও তথ্য যাতে আগে ফাঁস না হয়ে যায়।
2. বৃহস্পতিবার বসন্ত পঞ্চমী উপলক্ষে উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত বদ্রীনাথ ধামের দরজা খোলার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এবার বদ্রীনাথের দরজা খুলবে ২৭ এপ্রিল সকাল ৭টা ১০ মিনিটে। অন্যদিকে ১২ এপ্রিল তেল কলশ যাত্রার দিন ধার্য করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেতু ও হাইওয়ের ফাটলের মধ্যে যাতায়াত নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এই বিষয়ে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী আশ্বাস দিয়েছেন যে বদ্রীনাথের তীর্থযাত্রা যথাসময়ে শুরু হবে। তিনি বলেছিলেন যে এই যাত্রা শুধুমাত্র যোশীমঠ থেকে হবে।
3.নিয়ম মত ২৬ জানুয়ারির আগের রাতেই ঘোষণা করা হয়েছে পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ সম্মান প্রাককদের নাম। সেই নামের তালিয়া ছিল প্রয়াত সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা তথা উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদবের নাম। তাঁকে কেন্দ্রীয় সরকার পদ্মবিভূষণ প্রদান করবে বলেও জানিয়েছেন। কিন্তু সমাজবাদী পার্টির নেতা কর্মীরা কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ খুব একটা ভাল চোখে দেখছে না। ইতিমধ্যেই দলের এক নেতা প্রকাশ্যেই এর বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন , 'নেতাজির দেশের সর্বোচ্চ বেসমাসরিক পুরষ্কার ভারতরত্ন সম্মান পাওয়া উচিৎ।'
4.৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসে দিল্লির কর্তব্য পথে দেখা গেল বাংলার 'দুর্গোৎসব'। দেশবাসীকে নারী ক্ষমতায়নের বার্তা দিল বাংলার ট্যাবলো। বৃহস্পতিবার দিল্লির কর্তব্যপথের কুচকাওয়াযেঁ বাংলার ট্যাবলোতে দেখা গেল দুর্গা মণ্ডপের ধাঁচ। ডাকের সাজে সজ্জিত কার্তিক,গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতীর পাশাপাশি ছিল মা দুর্গার মূর্তিও। শুধু তাই নয়। আটপৌরে শাড়ি, ধুনুচি নাচে দিল্লির রাস্তায় দেখা গেল একটুকরো বাংলা। ট্যাবলোর সামনে আটপৌরে ভঙ্গিতে লাল পাড় সাদা শাড়ি পড়ে ঢাক বাজাতে দেখা গেল মহিলাদের। সঙ্গে থাকল ধুনুচি নাচও। বাংলার ঐতিহ্যের ঝলক উঠে এল দিল্লির কর্তব্য পথে। উল্লেখ্য গতবছরই বাংলার দুর্গাপুজাকে হেরিটেজের তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো।
5.ভারত ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করেছে। দিল্লির কর্তব্যপথে দেশের সেনা বাহিনীর শক্তির পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থান পেয়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অস্ত্রের প্রদর্শন। সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অন্যবারের এবারও ভারত দেশের সামরিক শক্তির প্রদর্শন করছে।
6.৭৪ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে গুগলের সার্চ ইঞ্জিন খুলতেই চমক। স্ক্রিনে ফুটে উঠল ইন্ডিয়া গেট থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন। কুচকাওয়াচ থেকে দিল্লির কর্তব্যপথ। ২৬ জানুয়ারি স্বদেশপ্রেমের এই অভিনব নিদর্শন দেখে মুগ্ধ দেশবাসী। গুগল ডুডলের এই ছবি এঁকেছেন, গুজরাতের আমদাবাদের চিত্রশিল্পী পার্থ কোথেকার। অসাধারণ এই ছবি দেখে আপ্লুত নেটিজেনরা। বৃহস্পতিবার সকালে সার্চ ইঞ্জিন খুলতেই এই দৃশ্য দেখলেন গোটা বিশ্ব।
7.৭৪তম প্রজানন্ত্র দিবসে দিল্লির কর্তব্যপথের কুচকাওয়াজের মূল আকর্ষণই হল মিশরের সেনা বাহিনীর প্যারেড। বৃহস্পতিবার মিশরের সেনা বাহিনীর সদস্যরা কর্তব্যপথের কুচকাওয়াজে অংশ নেন। তাঁরা ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে স্যালুট করেন। এই দিনের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ আল সিসি। মিশরই হল ২০২৩ সালে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অতিথি দেশ। এই দেশের ১৪৪ জন সেনা কুচকাওয়াজে অংশ গ্রহণ করেছিলেন।
8.৭৪ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে ভারতবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজ। ঐতিহাসিক এই দিনে সকল ভারতবাসীর প্রতি শুভেচ্ছাবার্তা দিলেন তিনি। ৭৪ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে সেজে উঠেছে দিল্লির রাজপথ থেকে কলকাতার রেড রোড। দিল্লিতে একাধিক সম্মানে ভূষিত করা হবে পুলিশকর্মীদের। কেন্দ্র ও রাজ্য মিলিয়ে মোট ৯০১ জন পুলিশ কর্মীকে সম্মানিত কতা হবে। বীরত্বের পদক পাবেন ১৪০ জন পুলিশ কর্মী। রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক পাচ্ছেন ৯৩ জন। ঐতিহ্যের এই দিনে সূদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে ভারতবাসীকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী আলবেনিজ।
9.ভারতকে জ্ঞানী মানুষের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবসেব অনুষ্ঠানে এই বার্তা দিয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি জয়পুরের কাছে জামডোলির কেশব বিদ্যাপীঠে সাধারণতন্ত্র দিবসেপ অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বলেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবার দেশের মানুষকে চিন্তাভাবন করতে হবে। 'আমরা উদ্যাম আনন্দ ও গর্বের সঙ্গে আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতীক তেরঙ্গা উড়িয়ে দিই। আমাদের গন্তব্য সেই পতাকার মধ্যে। আমাদের ভারতকে বিশ্বের সবথেকে বড় দেশে পরিণত করতে হবে।'
10.ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসাবে তার প্রথম ভাষণে, দেশের ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে, দ্রৌপদী মুর্মু আত্মনির্ভর ভারত উদ্যোগ, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা (PMGKAY) এবং ডিজিটাল ইন্ডিয়া অভিযানের জন্য কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেছিলেন যে এই জাতীয় উদ্যোগগুলি বিশ্ব মঞ্চে ভারতকে নতুন সম্মানের সঙ্গে উন্নীত করে। তিনি এই বিষয়ে গ্রুপ অফ টুয়েন্টি (G20) প্রেসিডেন্সিকে একটি সুযোগ হিসাবে উল্লেখ করে বলেছেন, গণতন্ত্র এবং বহুপাক্ষিকতা প্রচারের জন্য এটি বিশেষ মঞ্চ। G20 বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ প্রতিনিধিত্ব করে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।