১২৬টি ভোট পেয়ে বিহার বিধানসভার স্পিকার বা অধ্যক্ষ নির্বাচিত হলেন এনডিএ প্রার্থী বিজয় কুমার সিনহা। তিনি বিরোধী শিবিরের প্রার্থী তথা রাষ্ট্রী জনতা দলের বিধায়ক আওধবিহারী চৌধুরীকে হারিয়ে দেন। বিহার বিধানসভায় প্রথম শক্তি পরীক্ষায় জয় পেলেও সেই জয় নিয়ে কিছুটা হলেও খকটা থেকেই যাচ্ছে। স্পিকার নির্বাচন নিয়েও বুধবার বিধানসভার পরিবেশ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ছিল না। রীতিমত সরব ছিল বিরোধী শিবির।
বিহার বিধানসভা বিরোধী পক্ষের হয়ে প্রথম থেকেই সরব ছিলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। আরজেডি-সব বাম, কংগ্রেস জোট প্রথম থেকেই ধ্বনীভোটে স্পিকার নির্বাচনের বিরোধিতা করে। তার সেই কারণে প্রধম দিনেই কিছুটা উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় সভাকক্ষের ভিতরে। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব প্রথম থেকে ব্যালটে ভোটের দাবি জানিয়েছিলেনয়। কিন্তু তাঁর দাঁবি খারিজ করে দেন পোটেম স্পিকার জিতানরাম মাঝি। তিনি বলেন এখানে বাইরে থেকে কেউ ভোট দিতে আসবে না। সদ্যো নির্বাচিত বিধায়াকরাই ভোট দান করবেন। তখনই তেজস্ব নীতিশ কুমারের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কারণ নীতিশ কুমার বিধানসভার ভোটে জিতে বিধানসভায় আসেননি। তিনি আইনসভার সদদ্য। সেই সময় জিতানরাম মাজি জানান এর আগে রাবড়ি দেবী যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন লালু প্রসাদ যাদবও উপস্থিতি থাকতেন সভায়। বেশ কিছুসময় দুই পক্ষের উত্তপ্ত বাক্য বিনিয়ম চলে। তেজস্ব দলবল নিয়ে বিধানসভার ওয়েলে নেমে আসেন।
সব মিলিয়ে এদিন বিরোধী পক্ষের আওধ চৌধুরীকে হারিয়ে স্পিকার পদ দখল করেন বিজেপির বিজয় কুমার সিনহা। তিনি উচ্চ বর্ণের ভূমিহারা শ্রেণির প্রতিনিধি। সংঘ ঘনিষ্ট হিসেবেই পরিচিত। স্পিকার নির্বাচনে তাঁরে ভোট দিয়ে রাম বিলাস পাসোয়ানের পুত্র চিরাগ পাসোয়ান আরও এরবার বিজেপির প্রতি নিজের আনুগত্য জাহির করলন। যা ৪৩ বিধায়কের জেডিইউ নেতা তথা নীতিশ কুমারকে আরও কিছুটা চাপে রাখবে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল।