দূষিত জল খেয়ে কোটার এক হোস্টেলের ৬৫ জনেরও বেশি ছাত্র আক্রান্ত হলো হেপাটাইটিস এ তে। এদের মধ্যে মারা গেলেন ১৮ বছরের নিট পরীক্ষার্থী বৈভব রায় ।
ভবিষ্যতে ডাক্তার হবার স্বপ্ন দেখতেন যারা তারা আজ নিজেরাই রোগাক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী হাসপাতালে। ঘটনাটি কোটার। রাজ্যস্থানের কোটার জহর নগর এলাকায় হোস্টেলের দূষিত জল খেয়ে মারা গেলো এক ছাত্র এবং ৬৫ জনেরও বেশি ছাত্র অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হাসপাতালে।
রাজস্থানের কোটাতে নিট ক্র্যাকের স্বপ্ন নিয়ে যান অনেকেই। আবার আইআইটিতে পড়ার স্বপ্ন দেখেন যারা তারাও উচ্চ মাধ্যমিকের পাশাপাশি কোটাকেই বেছে নেন তাদের স্বপ্ন পূরণের কান্ডারি হিসাবে। প্রতিবছরই ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার লক্ষ্যে লক্ষ লক্ষ নিট পরীক্ষার্থী যান কোটাতে। ফিজিক্স কেমিস্ট্রির জটিল তত্ব থেকে অংকের মারপ্যাঁচ , সব অনায়াসে গুলে খাওয়ার জন্য কোটার পরিবেশকেই শ্রেষ্ঠ মনে করেন তারা। কিন্তু এবার সেই পরিবেশে ব্যাঘাত দিলো দূষিত জল। দূষিত জল খেয়ে ৬৫ জনেরও বেশি ছাত্র আক্রান্ত হলো হেপাটাইটিস এ তে।
এই অসুস্থ ছাত্রদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে একজনের। মৃত ছাত্রের নাম বৈভব রায়। ১৮ বছর বয়সী এই বৈভব ছিলেন নিট পরীক্ষার্থী। গতকাল দূষিত জল খাবার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে দেখে তাকে তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। ডাক্তাররা জানান তিনি এনসেফালোপ্যাথিতে আক্রান্ত। একটি বেসরকারি হাসপাতালে তারপর চিকিৎসাধীন রাখা হয় তাকে। এবং সমস্ত কিছুর সঙ্গে লড়াই করার পর হার মেনে নেন তিনি। গতকাল মৃত্যর কোলে ঢোলে পরে ১৮ বছর বয়সী বৈভব।
এর আগেও কোটার জল খেয়ে বহু ছাত্রের বমি পেট ব্যাথা দেখা যায়। একাধিক ছাত্রের থেকে অভিযোগ পেয়ে হোস্টেল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি সবাইকে ভর্তি করে হাসপাতালে। সবার হেপাটাইটিস এ ধরা পড়লে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তারা নড়ে ছোড়ে বসেন। পরবর্তীকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা সমস্তরকম সাহায্যের আশ্বাসও দেন হোস্টেল কর্তৃপক্ষকে।
কোটার মুখ্য চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমএইচও), জগদীশ সোনি বলেছেন, “হোস্টেলে খাবার ও জলের গুণমান পরীক্ষা করা হচ্ছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।”
কোটায় ছাত্রদের চিকিৎসা করা চিকিৎসকরা বলেছেন যে শুধু ছাত্ররাই নয় অন্যান্য লোকেরাও দূষিত জলের কারণে সংক্রমণে ভুগছেন।
আরও পড়ুন চোখ ধাঁধাঁনো অন্দরসজ্জা, বিলাসবহুল ব্যবস্থা, ভারতের মাটিতে নামল বিশ্বের বৃহত্তম যাত্রিবাহী বিমান
আরও পড়ুনবিশ্ব ক্ষুধা সূচক রিপোর্ট ভুল আর পক্ষপাতিত্বে ভরা, বিবৃতি দিয়ে জানাল কেন্দ্র