২০২২ সালে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী
এক বছরের ধরে বিভিন্ন কার্যক্রমের পরিকল্পনা মোদী সরকারের
তার জন্য তৈরি করা হল সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে একটি কমিটি
মোদীর কমিটিতে আছেন মমতা থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায় প্রমুখ
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এদিন এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই কমিটি চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি থেকেই কাজ শুরু করবে। আগামী এক বছর ধরে নেতাজীকে স্মরণের জন্য যে সমস্ত কর্মসূচি নেওয়া হবে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে এই কমিটিই।
এদিন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক জানিয়েছে, এই কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে থাকছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এছাড়া ৮৪ সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ-সহ সাতজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই কমিটিতে রাখা হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে।
বাংলা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ছাড়াও আছেন বাংলার দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক তথা বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বলি তারকা মিঠুন চক্রবর্তী, কাজল, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী, রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বাংলার বিজেপি সাংসদরা, সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী, সুনীল মণ্ডল, ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সুব্রত ভট্টাচার্য, তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনেতা-পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, নেতাজি গবেষক পূরবী রায় প্রমুখকে।
কমিটিতে চন্দ্রকুমার বসু-সহ নেতাজির পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের (আইএনএ) সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকেও রাখা হয়েছে।
ওড়িশার কটকে নেতাজির জন্মের সূত্রে কমিটিতে রয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছডি়য়ে ছিল আইএনএ-র কর্মকাণ্ড। সেই হিসাবে উত্তর-পূর্বের সেইসব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও রাখা হয়েছে এই কমিটিতে। আছেন প্রখ্যাত সুরকার এ আর রহমান, নেতাজি গবেষক পূরবী রায়।
এর আগেই কেন্দ্রীয় সরকার এক বছরের ধরে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে নেতাজিকে স্মরণ করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল মোদী সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই বাংলায় টুইট করে বলেছিলেন, 'নেতাজী সুভাষ বোসের সাহস সুবিদিত। একজন বিদগ্ধ পন্ডিত, সৈনিক ও শ্রেষ্ট এই জননেতার ১২৫তম জন্ম জয়ন্তী আমরা শীঘ্রই উদযাপন করতে চলেছি। এজন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তৈরি করা হচ্ছে। আসুন, আমরা সকলে মিলে বিশেষ এই অনুষ্ঠানটিকে সাড়ম্বরে উদযাপিত করি।' (বানান অপরিবর্তিত)