নতুন মোদী সরকারের নিরাপত্তা ভাবনাকে রূপায়নের গুরুভার তাঁর হাতে। সপ্তদশ মন্ত্রীসভায় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে জায়গা পেয়েছেন রাজনাথ সিংহ। দায়িত্ব নেওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পূর্বসূরীদের মতোই সিয়াচেনে এলেন তিনি। কথা বললেন প্রহরারত সেনা জাওয়ানদের সঙ্গে। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন শহিদের স্মৃতিতে।
পৃথিবীর সর্বোচ্চ হিমবাহ সিয়াচেনে নয়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী পা রাখা মাত্রই বার্তা গেল প্রতিবেশী দেশগুলির কাছে। সীমান্তের সুরক্ষার বিষয়ে যে নয়া মোদী সরকার আগের মতোই ওয়াকিবহাল থাকবে তা স্পষ্ট রাজনাথের বডি ল্যাঙ্গুয়েজে।
এদিন রাজনাথ সিংহ টুইটে লেখেন, "সিয়াচেনে সেনাকর্মীদের আত্মবলিদান আমাদের ঋণী করেছে। প্রায় ১১০০ সেনাকর্মী সিয়াচেন আগলাতে প্রাণ দিয়েছে। আমি এই মহৎ সেনাকর্মীদের সেলাম জানাই।
এদিন রাজনাথে সঙ্গে ছিলোন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। প্রসঙ্গত ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান ও চিনের চোখ রয়েছে সিয়াচেনের ওপর গত কয়েক বছর ধরেই। ১৯৮৪ সালে ভারতীয় সেনা এই অঞ্চলকে দখলমুক্ত করে। তার পরে প্রায় সাড়ে তিন দশক পার হলেও সিয়াচেন বিতর্কের অবসান হয়নি। ইসলামাবাদ থেকে চাপ প্রয়োগ করা হলেও ভারত সরকার সিয়াচেনের প্রশ্নে অনড় থেকেছে। অতীতে জর্জ ফার্নান্ডেজ থেকে শুরু করে মোদী সরকারের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বারবার এই আবহাওয়াতেই ছুটে গিয়েছেন সিয়াচেনে। তাই নিজের যাত্রার শুরুতে এই বুড়ি ছুঁয়ে গেলেন রাজনাথও। তাঁর সঙ্গে কথোপকথনের দরুণ সেনাদের উৎসাহ বাড়ল, অন্য দিকে বার্তাও পেল পাকিস্তান, চিনের মতো দেশগুলি।