খেলা ঘুরছে ত্রিপুরার, বিজেপির দলত্যাগীরা কংগ্রেসে ,অস্বস্তি ঘাসফুল শিবিরে

টার্গেট ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচন। ত্রিপুরা দখলের স্বপ্ন দেখেছে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপি ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া। প্রতিপক্ষ যুযুধান বাম ও কংগ্রেস সম্পূর্ণ নিশ্চুপ। কোনও কিছুই তেমনভাবে বলছেন  দুই রাজনৈতিক দল। 

Bangla SiteAdmin | Published : Feb 14, 2022 10:07 AM IST

৬০ সদস্যের ত্রিপুরা বিধানসভায় (Tripura Assembly) নির্বাচন হবে আগামী বছর। তবে তার অনেক আগে থেকেই ত্রিপুরায় ঘর গোছাতে শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। বাম (LF) ও  কংগ্রেসের (Congress) দলবদলুদের নিয়ে শক্তি সঞ্চয় করেছিল তৃণমূল। ত্রিপুরার পুরোভোটেও প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু এবার কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছে তৃণমূল। কারণ সম্প্রতি বিজেপিতে ভাঙন শুরু হয়েছে। কিন্তু দলবদলুরা তৃণমূলের খাতায় নাম না লিখিয়ে ফিরে যাচ্ছে নিজের পুরনো দল অর্থাৎ কংগ্রেসে।  যা ত্রিপুরার রাজনৈতিতে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

টার্গেট ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচন। ত্রিপুরা দখলের স্বপ্ন দেখেছে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপি ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া। প্রতিপক্ষ যুযুধান বাম ও কংগ্রেস সম্পূর্ণ নিশ্চুপ। কোনও কিছুই তেমনভাবে বলছেন  দুই রাজনৈতিক দল। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিরাট সাফল্যের পর  তৃণমূল কংগ্রেস গোয়া, মণিপুরের পাশাপাশি পা রেখেছিল ত্রিপুরাতে। দাবি করেছিল তৃণমূলের প্রকৃত একমাত্র বিরোধী তারা। কিন্তু সম্প্রতি অন্য কথা বলছেন রাজ্য রাজনীতি। 

কারণ সম্প্রতি বিজেপি ছেড়েছেন বিজেপির দুই বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মন ও তাঁর ঘনিষ্ট আশিস সাহা। বিজেপি ছাড়ার পর তাঁরা দিল্লি উড়ে গিয়ে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছেন। পুনরায় কংগ্রেসে যোগদান করেন। কিন্তু এঁদের দুজনকে নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছিল তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের আশা ছিল বিজেপি ত্যাগীরা তৃণমূলে যোগদান করবে। তাই তাদের ঘর ওয়াপাসি কিছুটা হলেও ধাক্কা দিয়েছে তৃণমূলকে। 

সূত্রের খবর বিজেপির আরও দুই বিধায়ক রাহুল প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু কিছু সমস্যা থাকায় আরও কিছুদিন পরে তারা কংগ্রেসে ফিরবেন। তবে তাঁদের কংগ্রেসে ফেরা প্রায় পাকা হয়ে গেছে। যা তৃণমূলের অন্দরে সমস্যা তৈরি করবে। 

তবে বিজেপি শিবিরে কিছুটা হলেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের অপসারণ নিয়ে একডজন বিজেপি নেতা জেপি নাড্ডার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সূত্রের খবর বিপ্লব দেবের উপর বিরক্ত হয়েই দল বদল করেন সুদীপ বর্মন ও আশিস সাহা। সুদীপ বর্মনের অভিযোগ রাজ্য বিজেপি গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। 

যাইহোক কংগ্রেস, বিজেপি ও তৃণমূল যখন দলবদলের খেলায় লিপ্ত হয়েছে তখন কিছুটা ধীরে চলো নীতি নিয়েছে বামেরা। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে তারা একজোট হয়ে ভোট যে লড়তে চাইছে না তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে। তবে বাম নেতাদের কথায় ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

ত্রিপুরার গত ২৫ বছর ধরে বামেদের সরকার ছিল। ২০১৮ সালে বিল্পব দেবের হাত ধরেই ত্রিপুরার ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। বিজেপি ও আইপিএফটি জোট পায় ৪৪টি আসন। তবে এখনও পর্যন্ত মানিক সরকারের নেতৃত্ব নিজেদের হারানো স্থান ফিরে পেতে মরিয়া লড়াই চালাচ্ছে বামেরা। কারণ রাজ্যে মূতল চতুর্থমুখী লড়াই হবে । বাম, কংগ্রেস , তৃণমূল ও বিজেপি সকলেই সকলের প্রতিপক্ষ হিসেবে আসরে নামবে।

রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়িয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন, প্রমাণ চাইলেন কেসিআর 
'কংগ্রেস-তৃণমূলের পথ আলাদা', ২০২৪-এর পরিকল্পনা জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়
রাতের আকাশে উজ্জ্বল ওটা কী, ভিডিও পোস্ট করে নেটিজেনের প্রশ্ন

Share this article
click me!