গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭ দিন আগে প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে এবং মোট ১৮০০ সেনাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বিশেষ বিষয় হল পুরো প্রশিক্ষণের উপর নজরদারি করছেন বর্ডার ডিফেন্স ব্রিগেডের সিনিয়র অফিসাররা।
অরুণাচল প্রদেশের স্থানগুলির নাম পরিবর্তন করে চিন তার ভবিষ্যৎ কৌশলের ইঙ্গিত দিয়েছে। এর আগে, চিনের পক্ষ থেকে যে কোনও বিবৃতিতে অরুণাচল প্রদেশকে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ হিসাবে বলা হত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হয় এই প্রস্তুতি ভৌগোলিক মানচিত্র পরিবর্তনের জন্য নয়তো মাটিতে বড় কোনো ষড়যন্ত্রের প্রস্তুতি হতে পারে। গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুসারে, অরুণাচল প্রদেশের এলএসি-র কাছে, চিন তার সীমান্ত প্রতিরক্ষা ব্রিগেডের সৈন্যদের বিশেষ ফেসঅফ ড্রিল প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
অপর প্রান্তে ১৫-১৫ দিনের নিরস্ত্র যুদ্ধ প্রশিক্ষণ চলছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭ দিন আগে প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে এবং মোট ১৮০০ সেনাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বিশেষ বিষয় হল পুরো প্রশিক্ষণের উপর নজরদারি করছেন বর্ডার ডিফেন্স ব্রিগেডের সিনিয়র অফিসাররা। প্রতি বছর প্রশিক্ষণে গুলিবর্ষণ ও অন্যান্য মহড়া চললেও এ বছর থেকে নিরস্ত্র যুদ্ধের প্রশিক্ষণে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
বিশেষ প্রশিক্ষণ কোথায় হচ্ছে?
বিশেষ বিষয় হল এই প্রশিক্ষণ এলাকাটি ভারতীয় ভূখণ্ড কিবিথুর ওপারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্প্রতি ওই এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন এবং তাঁর নিজস্ব স্টাইলে চিনকে বার্তাও দিয়েছিলেন। চীন দ্রুত তার অবকাঠামো বাড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিন এখনই কোনো বড় ধরনের বিতর্কে জড়াতে চায় না, কারণ কোনো ধরনের ফেসঅফের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে তার পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হতে পারে।
সম্প্রতি চিন অরুণাচলপ্রদেশের ১১টি স্থানের নাম বদল করেছে। এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে চিনের এই পদক্ষেপ তারা মানছে না। যদিও এটাই প্রথম নয়, এর আগে ২০২১ সালে একই রাজ্যের ১৫টি স্থান ও ২০১৭ সালে ৬টি স্থানের নাম পরিবর্তন করেছিল চিন। চিনা অক্ষর আর তিব্বতিভাষায় নাম লেখা হয়েছিল।একটি বিবৃতি জারি করে চিনের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে তিব্বতের কিছু অংশের নাম তারা পরিবর্তন করেছে। যদিও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রক চিনের এই দাবি পুরপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে। ১১টি স্থানের মধ্যে রয়েছে, দুটি সমতল এলাকা, দুটি আবাসিক এলাকা, পাঁচটি পর্বত শৃঙ্গ, দুটি নদী। চিনের গ্লোবাল টাইমসের রিপোর্ট তেমনই বলা হয়েছে। এটি অরুণাচলের বিষয়ে তৃতীয় নাম পরিবর্তনের সূচি।
চিনে এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছে ভারত। মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি অরুণাচল প্রদেশের ১১টি স্থানের নামকরণ নিয়ে চিনের নীতি পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছে।