দেশজুড়ে উৎসবের আবহেই হায়দরাবাদ এনকাউন্টার নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তথ্য সংগ্রহ করতে ডিজি-কে অবিলম্বে হায়দবারাদে টিম পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে কমিশনের কাছে এনকাউন্টারে যুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করার আবেদন জানিয়েছেন মুম্বইয়ের এক আইনজীবী। চারটি মৃতদেহের অটোপসি করার আবেদনও জমা পড়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে।
হায়দরাবাদ ধর্ষণকাণ্ডে প্রকাশ্যে আসার পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছিল গোটা দেশ। দোষীদের কঠিনতম শাস্তির দেওয়ার দাবি উঠেছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত আর বিচার বা শাস্তির জন্য অপেক্ষা করতে হল না। শুক্রবার ভোরে হায়দরাবাদে ঘটনাস্থলের কাছেই এনকাউন্টারে মারা গেল চার অভিযুক্ত। খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রীতিমতো উৎসব শুরু হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি, তেলেঙ্গানা পুলিশের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন সকলেই। তদন্তকারীদের দাবি, জনরোষের হাতে অভিযুক্তদের বাঁচাতে হায়দরাবাদের শাদনগর থানায় চাতানপল্লী গ্রামে অর্থাৎ ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। ভোরে যখন ঘটনার পুনর্নিমাণ করা হচ্ছিল, তখন পুলিশকর্মীদের উপর চড়াও তারা। বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। তখন আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালান পুলিশকর্মীরা। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান চার অভিযুক্তই। কিন্তু ঘটনা হল, পুলিশের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছেন না অনেকেই। বরং পুলিশের বিরুদ্ধে বিচারাধীন ওই চার বন্দিকে ইচ্ছাকৃতভাবে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গিয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে হায়দরাবাদ এনকাউন্টারে যুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার আবেদন জানিয়েছেন মুম্বইয়ের এক আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, এনকাউন্টারের নাম করে চারজন বিচারধানী বন্দিকে গুলি করে মেরেছেন পুলিশকর্মীরা। এদিকে আবার মাজা দারুওয়ালা নামে এক মানবাধিকার কর্মীর দাবি, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মৃতদেহগুলির অটোপসি করতে হবে। অটোপসির জন্য তৈরি করতে হবে চিকিৎসকদের বিশেষ টিম। তবে সেই টিমে অন্ধ্রপ্রদেশ বা তেলেঙ্গানার কোনও চিকিৎসককে রাখলে চলবে না। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে মাজা দারুওয়ালাও।