এখন প্রশ্ন স্কুল ছুটি দিয়ে কি আদৌ আটকানো যাবে ভাইরাসের প্রোকোপ? কেরল সরকার জানাচ্ছে খুব শীঘ্রই চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে রাজ্যে।
নিপাহ ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে এবার বিশেষ পদক্ষেপ নিল কেরল সরকার। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোঝিকোড়ে বন্ধ থাকবে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের শিকার হয়েছেন দু'জন। ফলত আর যাতে কোনও প্রাণহানি না হয় তার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কোঝিকোড় জেলার অঙ্গনওয়াড়ি, মাদ্রাসা, টিউশন সেন্টার এবং প্রফেশানাল কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এখন প্রশ্ন স্কুল ছুটি দিয়ে কি আদৌ আটকানো যাবে ভাইরাসের প্রোকোপ? কেরল সরকার জানাচ্ছে খুব শীঘ্রই চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে রাজ্যে।
নিপাহ ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য প্রয়োজনীয় 'মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি' ইতিমধ্যেই রাজ্যে পৌঁছেছে বলে জানাচ্ছে কেরল সরকার। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান সচিবের মধ্যে বৈঠকের পর কিছু পরিমাণ অ্যান্টিবডি এসে পৌঁছেছে রাজ্যে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, এখনও যেহেতু ক্লিনিক্যালি প্রমাণিত হয়নি যে এই অ্যান্টিবডি নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কার্যকরি তাই একটি কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে। জর্জের সংযোজন এটি নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণ আটাকানোর জন্য একমাত্র উপলব্ধ 'অ্যান্টিভাইরাল' চিকিত্সা।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন মঙ্গলবার ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন যে সরকার দু'জনের মৃত্যুকে গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে। এই মৃত্যুর কারণ হিসাবে নিপা ভাইরাস সংক্রমণ সন্দেহ করে জেলায় স্বাস্থ্য দফতর একটি সতর্কতা জারি করেছে। এরপরই জেলায় পৌঁছন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনি একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের সভাপতিত্বও করেন। এরপর তিনি বলেন, সরকার সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রথম মৃত্যু হয়েছে। নিহতের সন্তান, ভাই ও তার স্বজনরা জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জর্জ বলেছিলেন যে অনেক লোক হাসপাতালে এসেছিলেন এবং মৃত বা তার পরিবারের সংস্পর্শে আসা লোকদের সন্ধান করার চেষ্টা চলছে।