আর কতবার পিছোবে নির্ভয়াকাণ্ডের ফাঁসি, এখনও বাকি কী কী আইনী প্রতিকার

রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছে বিনয় শর্মা।

তার জেরেই ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি স্থগিত রাখতে হচ্ছে।

আর কতবার পিছোতে পারে নির্ভয়াকাণ্ডের ফাঁসি?

আর কী কী আইনী প্রতিকার পড়ে আছে আসামিদের হাতে?

 

amartya lahiri | Published : Jan 30, 2020 10:24 AM IST / Updated: Jan 31 2020, 10:57 PM IST

প্রথমে ফাঁসির দিন ঠিক হয়েছিল ২২ ফেব্রুয়ারি। তারপর আইনি জটে আটকে গিয়ে তা পিছিয়ে হয় ১ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু আরও একবার সেই আইনি প্যাচেই পিছিয়ে যেতে চলেছে নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার চার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ফাঁসি। নির্ভয়ার বাবা-মায়ের কথা বলাই বাহুল্য, ন্যায় বিচারের এই দীর্ঘসূত্রিতায় বিরক্ত সাধারণ মানুষই। ফাঁসি এড়ানো একেবারে সম্ভব না হলেও, এইভাবে আইনের ফাঁককে কাজে লাগিয়ে আর কতবার চার আসামি তাদের ফাঁসি পিছিয়ে যাবে, রাস্তাঘাটে এখন এই প্রশ্নটাই ঘোরাফেরা করছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক নির্ভয়া কাণ্ডের আসামীদের কার হাতে কী কী আইনি প্রতিকার পড়ে রয়েছে -

শুরু করা যাক বিনয় শর্মা-কে দিয়েই। বুধবার সে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানিয়েছে। আর তার জেরেই আটকে ফের পিছিয়ে যেতে চলেছে এই সাড়া জাগানো মামলার ফাঁসি। তিহার জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছ, ম্যানুয়াল অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রাণভিক্ষার আবেদন জানালে কারা সুপারিনটেন্ড-কে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিষয়ে স্থগিতাদেশ জারি করতেই হয়। সরকারের পক্ষ থেকে ফের নতুন নির্ধারিত দিনের আদেশ না আসা পর্যন্ত স্থগিতাদেশই থাকবে। রাষ্ট্রপতি তার আবেদন খারিজ করে দিলে তা পুনর্বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারবে। আর কোনও পথ থাকবে না।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি)-ই, মুকেশকুমার সিং-এর সব আইনি পথ শেষ হয়ে গিয়েছে। রাষ্ট্রপতির তার প্রাণভিক্ষার আবেদনের খারিজ করার পর সেই সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিল সে। কিন্তু আদালত তার কোনও যুক্তি মানেনি। কাজেই তার হাতে আর বিকল্প কিছু পড়ে নেই।

অপর আসামি অক্ষয় গত ২৮ জানুয়ারী একটি সুপ্রিমকোর্টে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানান। বৃহস্পতিবারই শীর্ষ আদালতে তার শুনানি হওয়ার কথা। সেই আবেদন খারিজ হয়ে গেলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবে, আর তা খারিজ হলে সেই সিদ্ধান্তকে ফের সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে।

চতুর্থ আসামি পবন গুপ্তা এখনও তার কিউরেটিভ আবেদন করেননি। ফলে সুপ্রিমকোর্টে প্রাণভিক্ষার আর্জি, তারপর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি আর তারও পরে ফের রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করার রাস্তা তার সামনে পড়ে রয়েছে।

২০১৪ সালের সুপ্রিম কোর্টের এক রায় অনুসারে, রাষ্ট্রপতির প্রাণিক্ষার আবেদন খারিজ করলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফাঁসির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার জন্য ১৪ দিন সময় দেোযা হয়।

Share this article
click me!