লকডাউনের প্রবাসী শ্রমিকদের মৃত্যু নিয়ে কোনও তথ্য নেই, সংসদে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল সরকার

  • লকডাউনে প্রবাসী শ্রমিকদের মৃত্যু 
  • লকডাউনে প্রবাসী শ্রমিদদের কাজ হারানো 
  • এই দুটি বিষয়ে কোনও তথ্য নেই সরকারের কাছে 
  • মহামারির সময় প্রবাসী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার 

Asianet News Bangla | Published : Sep 14, 2020 9:15 AM IST

আশঙ্কা সত্যি করেই বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই অভিবাসী শ্রমিক ইস্যুতে উত্তাল হল সংসদ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় লকডাউনের পথে ই হেঁটেছিল কেন্দ্র। আর সেই সময় কয়েক হাজার অভিবাসী শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন, প্রথম দিনে  যানবাহন না পেয়ে অনেকই পায়ে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু রাস্তাতেই ঢলে পড়েছেন মুত্যুর মুখে।  তেমনই এক প্রশ্ন জাবাব দিতে হল সরকার পক্ষে। সেই প্রশ্নের উত্তরে সরকার পক্ষের তরফে জানান হয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালীন লকডাউন চাপিয়ে দেওয়ার কারণে অভিবাসী শ্রমিকদের মৃত্যু হয়েছে বলে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি অভিবাসী শ্রমিকরা কাজ হারিয়েছেন বলেও কোনও তথ্য সরকারের হাতে নেই। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে লিখিত জবাবে বলা হয়েছে সরকার প্রবাসী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে তাঁদের বিনামূল্য রেশন সরবরাহ করেছে। এই ব্যবস্থা গোটাদেশেই কার্যকর হয়েছে। 
 
জানতে চাওয়া হয়েছিল সরকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিতকে কোনও ক্ষতিপুরণ দেবে কিনা। সেই প্রশ্ন উত্তরে শ্রম ও কর্ম সংস্থান মন্ত্রকের স্বতন্ত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্য মন্ত্রী সন্তোষ কুমার গাঙ্গোয়ার বলেছেন, এজাতীয় কোনও তথ্য যেহেতু নেই তাই ক্ষতিপুরণ দেওয়ার প্রশ্নও ওঠে না। রেল প্রটেকশন ফোর্সের তথ্য অনুযায়ী শ্রমিক স্পেশান ট্রেনগুলিতে সফরতর অবস্থায় ৯-২৭ মে-র মধ্যে প্রায় ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। লকডাউনের সময়ে এই বিশেষ ট্রেনগুলিতে করে বাড়ি ফিরছিলেন অভিবাসী শ্রমিকরা। কিন্তু সেই তথ্যে বলা হয়েছে যাঁরা মারা গিয়েছিলেন তাঁদের কোনও না কোনও রোগের পূর্ব ইতিহাস ছিল। অথবা তারা দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন। পাশাপাশি সরকারের তরফে বলা হয়েছিল প্রবাসী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে সরকার একাধিক ট্রেন চালিয়েছিল লকডাউনের সময়। 


অভিবাসী শ্রমিকরা যে সমস্যাগুলির মুখোমুখি হয়েছে তা মূল্যায়ন করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে কিনা তাও জানতে চায় বিরোধী পক্ষ। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারত ঐক্যবদ্ধভাবেই করোনাভাইরাসের মত মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির সরকারও একসঙ্গে লড়াই করছে। মহামারির সময় দেশটি মানবসম্পদ সংকটের বিরুদ্ধেও লড়াই করেছে। সরকারগুলির পাশে দাঁড়াতে এগিয়েছে এসেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি। বিনামূল্য রেশন সরবরাহ নিয়ে সরকার সমস্ত দায়ই রাজ্যের কাঁধে চাপিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে ৮০ কোটি মানুষকে অতিরিক্ত ২০ কেজি চাল অথবা গম আর এক কেজি করে ডাল সরবরাহ করা হচ্ছে। এই প্রকল্প আগামী নভেম্বর পর্যন্ত চালু থাকবে। পাশাপাশি বলা হয়েছে সরকার ওয়ান নেশন ওয়ান কার্ড পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে হাঁটছে। এই প্রকল্প চালু হলে প্রবাসী শ্রমিকদের রেশন সংগ্রহ করতে কোনও সমস্যা হবে না। যে কোনও ব্যক্তি যেকোনও স্থান থেকেই রেশ সংগ্রহ করতে পারবে। 

Share this article
click me!