'প্লাজমা থেরাপি'র আশায় জল ঢালল কেন্দ্র, রক্তরস অদল-বদলে রয়েছে 'প্রাণের ঝুঁকি'ও

Published : Apr 28, 2020, 05:49 PM IST
'প্লাজমা থেরাপি'র আশায় জল ঢালল কেন্দ্র, রক্তরস অদল-বদলে রয়েছে 'প্রাণের ঝুঁকি'ও

সংক্ষিপ্ত

দিল্লিতে ইতিমধ্যেই একজন গুরুতর করোনাভাইরাস রোগী সুস্থ হয়ে গিয়েছেন তারপর থেকেই ভারতে করোনা প্রতিরোধে প্লাজমা থেরাপির আশার সঞ্চার করেছে কিন্তু, প্রত্যাশার সেই বেলুন চুপসে দিল কেন্দ্রীয় সরকার রক্তরস দিয়ে এই চিকিৎসায় 'জীবনের ঝুঁকি' রয়েছে বলে জানালো তারা  

দিল্লিতে ইতিমধ্যেই ভারতের প্রথম প্লাজমা বা রক্তরস থেরাপির মাধ্যমে কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসার পরীক্ষা সফল হয়েছে। তারপর থেকে দেশের মানুষের মধ্যে এই নিরাময় পদ্ধতি নিয়ে প্রত্যাশা বেড়েছে। কিন্তু, মঙ্গলবার সেই প্রত্যাশার বেলুন প্রায় চুপসে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হল, করোনাভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি-র ব্যবহার এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। এমনকী এই থেরাপি কারোর কারোর ক্ষেত্রে 'জীবনের ঝুঁকি' তৈরি করতে পারে।

এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক ঊর্ধ্বতন কর্তা সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, 'করোনভাইরাস-এর চিকিৎসা হিসাবে প্লাজমা থেরাপি-কে সমর্থন করার কোনও নিশ্চিত প্রমাণ নেই। এই থেরাপি এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এবং ইন্ডিয়ান মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল এটি নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে'। এরপরই তিনি যোগ করেন, 'এটা কিন্তু প্রাণঘাতীও হতে পারে'।

গত সপ্তাহেই দেশের মধ্যে প্রথম হিসাবে দিল্লিতে এক কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য প্লাজমা থেরাপি ব্যবহার করা হয়। তাতে কিন্তু সাফল্যই এসেছিল। ৪৯ বছর বয়সী কোভিড-১৯ আক্রান্ত এক ব্যক্তি ভর্তি ছিলেন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসায় রক্তরস সম্পর্কিত এই চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল। ইতিবাচক ফল আসার পর সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীরা ইতিমধ্যেই প্লাজমা-দানের জন্য ভিড় করেছেন। সোমবারই তাবলিগি জামাত সংগঠণের সুস্থ হয়ে ওঠা বহু সদস্য তাঁদের রক্তরস দান করেছেন। মুম্বই-তে আবার এদিন থেকেই প্লাজমা থেরাপি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে।

কী এই প্লাজমা থেরাপি? যেসব করোনাভাইরাস রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠছেন, তাদের দেহে ভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। সেই অ্যান্টিবডি সবচেয়ে বেশি থাকে রক্তরসের মধ্যে। তাই সুস্থ হয়ে ওঠা ওই রোগীর রক্তরস সংগ্রহ করা হয়। সেই অ্য়ান্টিবডি সম্বৃদ্ধ রক্তরস তারপর দেওয়া হয় কোনও গুরুতর অসুস্থ রোগীর দেহে। ওই সুস্থ রোগীর অ্যান্টিবডি ওই গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তির দেহেও ভাইরাস-এর বিরুদ্ধে একইরকমভাবে লড়াই করবে বলে আশা করা হয়। অন্যান্য বিভিন্ন ভাইরাসঘটিত রোগের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি সফল হয়েছে। এখন গোটা পৃথিবীতেই এই পদ্ধতি নিয়ে চর্চা চলছে। চিকিৎসকদের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি দাতা ৪০০ মিলিলিটার পর্যন্ত প্লাজমা দান করতে পারেন, যা অন্তত দুজন রোগীকে দেওয়া যায়।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে সরকার জানাল সাফ কথা! ২.৮৬ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে বেতন?
যোগী সরকারের উত্তরপ্রদেশ ডিজিটাল পাওয়ারহাউস: স্টার্টআপ, আইটিতে রেকর্ড বৃদ্ধি