করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কী জাতীয় মাস্ক ব্যবহার করবেন, পরামর্শ দিলেন চিকিৎসকরা

Published : Jul 22, 2020, 11:57 AM IST
করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কী জাতীয় মাস্ক ব্যবহার করবেন, পরামর্শ দিলেন চিকিৎসকরা

সংক্ষিপ্ত

ভালব রেসপিরেটরযুক্ত মাস্ক ব্যহবারে বিধি নিষেধ আরোপ কেন্দ্রের চিকিৎসকদের মতে বাড়ির তৈরি মাস্ক ব্যবহার করাই শ্রেয়  বাড়ির তৈরি মাস্ক সহজেই পরিষ্কার করা যায়  বর্ষার মরশুমে মাস্ক ব্যবহারে যত্নবান হতে পরামর্শ   


নিউ নর্মাল লাইফের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গই হল ফেসমাস্ক। এখন বাজারে সাধারণ মাস্কের পাশাপাশি রাহারি মাস্কও এসেগেছে। আগামী দিনে মাস্ক ফ্যাশান আইকনও হয়ে উঠতে পারে। পাশাপাশি সোনা, হীরা, রুপোর মাস্কেরও ব্যবহারও করছেন অনেকে। কিন্তু তা কতটা কার্যকর তাই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু বর্তমানে সবথেকে বেশি চাহিদা রয়েছে ভালব রেসপিরেটর যুক্ত এন-৯৫ মাস্কের।  সপ্তাহের প্রথমেই কেন্দ্রীয় সরকার একটি নির্দেশিকায় জানিয়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে মোটেও কার্যকরী নয় এন-৯৫ মাস্ক। একই সঙ্গে কারণও জানিয়েছে কেন এই জাতীয় মাস্ক সংক্রমণ আটকাতে ব্যর্থ। 


স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই নির্দেশিকার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও। তাঁদের মতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনও রোগী যখন শ্বাস ত্যাগ করেন তখন তাঁর শরীর থেকে নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইড ভালব রেসপিরেটরযুক্ত এন৯৫ মাস্কের ভালবের মধ্যে দিয়ে বার হয়ে যায়। আর সেই বাতাসে থাকা করোনার জীবাণু সহজেই ছড়িয়ে পড়ে।   যা অজান্তেই আক্রান্ত ব্যক্তির পাশে থাকা মানুষদের সংক্রমিত করেন। 

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে যে মাস্ক সহজে পরিষ্কার করা যায় সেই জাতীয় মাস্কই ব্যবহার করা উচিৎ। তবে মাস্কটি অবস্যই ব্যবহারকারীর মুখের সঙ্গে ফিট হতে হবে। অনেক চিকিৎসকই জানিয়েছেন করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সবথেকে ভালো কাজ দেয় সার্জিক্যাল মাস্ক। তবে এই মাস্ক পুনরায় ব্যবহার না করাই শ্রেয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এন-৯৫ মাস্ক ও ত্রিস্তরীয় ফেসমাস্ক ব্যবহার করলে কিছুটা হলেও নিরাপদে থাকা যাবে বলেও দাবি করেছেন চিকিৎসকরা। 

অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দাবি বাড়িতে তৈরি মাস্কও ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ এজাতীয় মাস্ক সহজেই পরিষ্কার করা যায়। যাঁদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা নেই তাঁরা বাড়িতে তৈরি মাস্ক ব্যবহার করতেই পারেন। বাড়ির বাইরে এই জাতীয় মাস্ক সহজেই সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে। 

পুরুষদের ব্যবহারের রুমালও খুব ভালো মাস্ক হতে পারে। দুটি কোন রবার ব্যান্ডের সঙ্গে বেঁধে নিয়ে সহজেই তা ব্যবহার করা যায়। 
তবে এইজাতীয় মাস্ক কখনই স্বাস্থ্য কর্মীরা ব্যবহার করেতে পারবেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে এই জাতীয় মাস্ক একসঙ্গে দুটো তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। একটি পরিষ্কার করার পাশাপাশি অন্যটি থাকবে ব্যবহারের জন্য। 


বিশেষজ্ঞদের কথায় ব্যবহারের পর মাস্ক সাবান দিয়ে মাস্ক ধুয়ে ফেলা, রোদে শুকনো করা অত্যন্ত জরুরি। বর্ষাকালে মাস্ক শুকনো করার জন্য ইস্ত্রি করার পরামর্শও দিয়েছেন অনেক চিকিৎসক। তবে বিশেষজ্ঞদের কথায় এন-৯৫ মাস্ক সাবান ও জল দিয়ে ধুলে তার কার্যকারিত হ্রাস পায়। অনেক চিকিৎসক আবার গরম জলে মাস্ক ধুয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন। 
 

PREV
click me!

Recommended Stories

IndiGo বিপর্যয়ের জেরে দিল্লি-কলকাতা বিমান ভাড়া ইউরোপের চেয়েও মহার্ঘ! একই টাকায় ঘুরে আসা যাবে লন্ডনও
২৫ বছর পুরনো বন্ধুত্বের কথা স্মরণ মোদীর, পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা দিল্লিতে