আবার মোদীকে ঈশ্বরের সঙ্গে তুলনা। দেবানাহল্লি গ্রামের সাধারণ মানুষের পর এবার প্রাক্তন রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি।
কর্ণাটকের দেবানাহল্লি গ্রামের একজন বয়স্ক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ঈশ্বরের সঙ্গে তুলনা করে তাঁর প্রশংসা করেছিলেন। এই ঘটনার মাত্র এক দিন পরেই মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি শনিবার একটি অনুষ্ঠানে অনেকটা একই ধরনের মন্তব্য করেন। নৈনিতালে একটি সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কোশিয়ারি বলেছিলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ভগবান মনে করা খারাপ কিছু নয়।'
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'আমি বলছি না যে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর পুজো করা উচিৎ। তবে তিনি যা বলেন তা আমাদের শোনা উচিৎ।' কোশিয়ারির এই মন্তব্য রীতিমত ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন রাজ্যপাল বলেন, 'সরকার তার ক্ষমতার চেয়ে বেশি চাকরি দিয়েছে। কোনও সরকারই প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র দিতে পারে না, তাই আমরা স্বনির্ভর হয়েছি। ' আপনিও দেখুন ভগত কোশিয়ারির ভাইরাল হওয়া ভিডিওঃ
শুক্রবার ভোটমুখী কর্ণাটকের দিবানাহল্লি গ্রামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রোডশো বৃষ্টির কারণে ভেস্তে যায়। কিন্তু তারপরই এক গ্রামবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর একটি কাটআউট মুছতে দেখা গেছে। সাদা শার্ট ও ধুতি পরা এই গ্রামবাসীকে তাঁর এই আচরণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি স্বাভাবিকভাবেই জানিয়ে দেন, মোদীর কাটআউট মোছার জন্য তাঁকে কেউ টাকাপয়সা দেয়নি। তিনি আরও বলেছিলেন 'মোদীজি ঈশ্বর। আমাকে কেউ কোনও টাকা দেয়নি এরজন্য।' তিনি আরও বলেছিলেন, তাঁর বিশ্বাস থেকেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাটআউট মুছেছিলেন।
অন্যদিকে এদিন জাতীয় পঞ্চায়েত রাজ দিবসে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি কংগ্রেসকে নিশানা করেন। তিনি বলেন আগের সরকার গ্রামগুলিকে উপেক্ষা করেছিল। কারণ গ্রামের ভোটব্যাঙ্ক ছিল না। বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার এই পরিস্থিতি পরিবর্তন করেছে আর পঞ্চায়েতগুলিতে বিশাল অনুদান দিয়েছে।
মোদী এদিন বলেন, আগের সরকার গ্রামের জন্য অর্থ ব্যায় করতে ইতস্তত করত। কারণ গ্রামে তাদের ভোটব্যাঙ্ক ছিল না। আর সেই কারণেই গ্রামগুলিকে উপেক্ষা করা হয়েছিল। অনেক রাজনৈতিক দল গ্রামের লোকেদের ভাগ করে তাদের নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করছিল। বিজেপি গ্রামের প্রতিএই ইবিচারের অবসান ঘটিয়েছে। তাদের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কোষাগার খুলে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, তাঁর সরকার জনধন প্রকল্পের মাধ্যে ৪০ কোটিরও বেশি মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছে।