নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেনকে হাতিয়ার করে রাহুল গান্ধী বলেন, রাহুল গান্ধী বলেছেন, মোদী সরকার প্রাথমিক গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, রাজনীতিবিদ ও জনসাধারণের ওপর গোয়েন্দাগিরি করার জন্য পেগাসাস কিনেছিল। সরকারি কর্মকর্তা, বিরোধী নেতা, সশস্ত্র বাহিনী, বিচারবিভাগ- সকলকেই ফোন ট্যাপিং-এর মাধ্যমে টার্গেট করা হয়েছিল।
নিউ ইয়র্ক টাইমের (NYT) পেগাসাস (Pegasus) রিপোর্টকে যখন হাতিয়ার করে সুর চড়াচ্ছে বিরোধীরা সেই সময় নতুন করে বিরোধীদের কোর্টেই বল ঠেললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভিকে সিং (VS Singh)। তিনি নিউ ইয়র্ক টাইমসকে 'সুপারি মিডিয়া' বলে দাবি করেছেন। তিনি নিউ ইয়র্ক টাইমসের এই প্রতিবেদন নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বসেছেন, এই সংবাদ পত্রের প্রতিবেদন কতটা বিশ্বসযোগ্য? কারণ সংবাদপত্রটি সুপারি মিডিয়া নামেই পরিচিত। ভিকে সিং ভারতীয় সেনা বাহিনীর প্রাক্তন প্রধান ছিলেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেনকে হাতিয়ার করে রাহুল গান্ধী বলেন, রাহুল গান্ধী বলেছেন, মোদী সরকার প্রাথমিক গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, রাজনীতিবিদ ও জনসাধারণের ওপর গোয়েন্দাগিরি করার জন্য পেগাসাস কিনেছিল। সরকারি কর্মকর্তা, বিরোধী নেতা, সশস্ত্র বাহিনী, বিচারবিভাগ- সকলকেই ফোন ট্যাপিং-এর মাধ্যমে টার্গেট করা হয়েছিল। এটি রাষ্ট্রদ্রোহে সামিল বলেও উল্লেখ করেছেন কংগ্রেস নেতা। 'দ্যা ব্যাটেল ফর দ্যা ওয়ার্ল্ডস মোস্ট পাওয়ালফুল সাইবারওয়েপন' (The World Most Powerfull Cyberweapon)- এই শিরোনামে দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে ইসরায়েলি ফার্ম এনএসও গ্রুপ (NSO Group) থেকে প্রায় ১০ বছর ধরেই বিশ্বের একাধিক দেশের সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার কাছে সাবস্ক্রিপশনেপ ভিত্তিতে নজরদারী সফ্টওয়্যার পেগাসাস বিক্রি করেছে। তবে সংস্থাটি কোনও বেসরকারি সংস্থাকে তাদের সফ্টওয়্যার বিক্রি করেনি। এই সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ক্র্যাক করে সমস্তা তথ্য হাতিয়ে নেওয়া যায়।
প্রতিবেদনে ২০১৭ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের ইজরায়েল সফরের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই ফিলিস্তানি কারণে ইসরায়েলের সঙ্গে শীতল ছিল ভারতের সম্পর্ক। সেখানে দীর্ঘদিন পরে মোদীর ইসরায়েল সফর ছিল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। মোদী ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের সমুদ্রের ধারে হাটার কথাও উল্লেখ করে প্রতিবাদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে মোদীর এই সফরের সময়ই ইসরায়ের ভারতের কাছে প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অত্যাধুনির অস্ত্রও গোয়েন্দা সামগ্রীর একটি প্যাকেজ বিক্রি করেছিল। মোদীর সফরের কয়েক মাস পরেই নেতানুয়াহু ভারত সফর করেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৯ সালে ভারত রাষ্ট্রসংঘে অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলে ফিলিস্তানি ইস্যুতে ইসরায়েলকেই সমর্থন জানিয়ে ভোট দিয়েছিল। নিউ ইয়র্ক টাইমসের এই রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের মতামত জানতে পিটিআই যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।