মুখে ১১৮টি সেলাই নিয়ে যন্ত্রণায় বিধ্বস্ত মহিলা, দুষ্কৃতী হামলার প্রতিবাদ করায় 'শাস্তি'


মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার। মহিলা তাঁর স্বামীর সঙ্গে টিটি নগরের রোশনপুরার শ্রী প্যালেস হোটেলে গিয়েছিলেন।

Saborni Mitra | Published : Jun 12, 2022 12:15 PM IST

নিজের আব্রু রক্ষা করতে পারলেও দুষ্কৃতীদের  অত্যাচারের চিহ্ন আজন্মকাল বইতে হবে নির্যাতিত মহিলাকে। মধ্য প্রদেশের ভোপারের বাসিন্দা এক মহিলার মুখে অস্ত্রোপচারের সময় ১১৮টি সেলাই দিতে বাধ্য হন চিকিৎসকরা। কারণ মহিলার ওপর দুষ্কৃতীরা একটি কাগজ কাটার দিয়ে  হামলা করেছিল। তাতে রীতিমত ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় মহিলার মুখ। প্রাণে বাঁচলেও অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে মহিলা এখনও শয্য়াসায়ী। 

মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার। মহিলা তাঁর স্বামীর সঙ্গে টিটি নগরের রোশনপুরার শ্রী প্যালেস হোটেলে গিয়েছিলেন। সেখানেই বাইক রাখা নিয়ে এক দল দুষ্কৃতী তাদের সঙ্গে ঝামেলা করে। তখন মহিলাও পাল্টা উত্তর দিয়েছিলেন। পার্কিং নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। মহিলা অভিযুক্তদের মুখোমুখি হয়ে দাঁড়িয়ে তাদের তিন জনকেই চড় মেরেছিলেনয়। তারপর  হোটেল কর্তৃপক্ষের মধ্যস্থতার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তারপর মহিলা ও তাঁর স্বামী হোটেলে চলে যান। 

কিন্তু বিপদ অপেক্ষ করছিল তাঁদের জন্য। তাঁরা যখন হোটেল থেকে বাইরে বেরিয়ে আসন, তখনও অপেক্ষা করে ওঁৎ পেতে ছিলেন দুষ্কৃতীরা। সেই সময়ই তারা মহিলার ওপর কাগজ কাটার দিয়ে হামলা চালায়। গোটা মুখ ক্ষতি বিক্ষত করে দেয়। মহিলাকে তাঁর স্বামী হাসপাতালে ভর্তি করে। 

চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন আঘাত গুরুতর। তবে অস্ত্রোপচারের পর ১১৮টি সেলাই দিয়েছিলেন প্রথমিক চিকিৎসা করেন। তাঁরা জানিয়েছেন বিপদ কেটে গেলেও মহিলাকে এখনও দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকতে হবে। 

পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে গেখে বাদশা বেগ ও অজয় ওরফে বিট্টি সিবদেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তৃতীয় জনের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। তৃতীয় হামলাকারীর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। 

মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। মহিলার সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন অভিযুক্তরা রেহাই পাবে না। নির্যাতিতাকে সাহসিকতার জন্য ১ লক্ষ টাকা পুরষ্কার দিয়েছেন। পাশাপাশি জানিয়েছেন দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভারতে নারী নির্যাতনের ঘটনা নিত্যদিনের হয়ে গেছে। সমাজের একটি অংশ মহিলাদের সম্মান দিতে নারাজা। তাঁরা মেনে নিতে পারে না মহিলাদের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। তাই যেনতেন প্রকারে তা আটকানোর চেষ্টা করে করা মহিলাদের কণ্ঠরুদ্ধ করতে তৈরি থাকে এক দল পুরুষ। এখানেই ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে। মহিলা তাদের অশালীন আচরণের প্রতিবাদ জানিয়েছিল। তাদের থাপ্পড় মেরেছিল। আর সেই কারণেই মহিলার মুখ ক্ষত বিক্ষক করে দিয়ে শাস্তি দিয়েছিল তারা। 

Share this article
click me!