ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই, সুপারিশ রেলওয়ে বোর্ডের:অশ্বিনী বৈষ্ণব

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন প্রশাসনিক তথ্য বিবেচনা করে রেলওয়ে বোর্ড পুরো ঘটনাটি আরও ভাল করে খতিয়ে দেখার জন্য সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছে।

 

Web Desk - ANB | Published : Jun 4, 2023 5:38 PM IST

ওড়িশার বালেশ্বরে তিনটি ট্রেনের দুর্ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই। তেমনই সুপারিশ করেছে ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ড। রবিবার জানিয়েছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বিরোধীরা যখন রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছে তখন এই প্রস্তাবের কথা জানালেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী। ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ১ ১০০ জনেরও বেশি।

ভূবনেশ্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন প্রশাসনিক তথ্য বিবেচনা করে রেলওয়ে বোর্ড পুরো ঘটনাটি আরও ভাল করে খতিয়ে দেখার জন্য সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন দুর্ঘটনার মূল কারণ আর মূল অপরাধীদের ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে।

রেলমন্ত্রী ভয়াবহ ঘটনার মূল কারণ এখনই বিস্তারিত জানাতে চানা পরেও বলেছেন। তিনি বলেন, 'আমি শুধু বলব যে মূল কারণ ও দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে।' করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার দিন থেকেই রেলমন্ত্রী বালেশ্বরে রয়েছে। উদ্ধারকাজ ও পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া তদারকি করছে। রেলমন্ত্রী সূত্রে জানাগেছে উদ্ধারকাজে গতি আনতে লোকবল বাড়িয়েছে রেল। এই লাইনে যাতে দ্রুত ট্রেন চলাচল শুরু করা যায় তারও চেষ্টা করা হচ্ছে। সাতটিরও বেশি পোক্লেইন মেশিন, দুটি অ্যাক্সিডেন্স রিলিফ ট্রেন ,তিনের বেশি রেলওয়ে ও রোড ক্রেন মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে ১২৪৮ এর আপ মেইন লাইনের সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। টেকঅফ করা হয়েছিল। কিন্তু ট্রেনটি একটি লুপ লাইনে প্রবেশ করে। আপ লুপ লাইনে আগে থেকেই মালগাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। সেটিকে ধাক্কা মেরে লাইনচ্যুত হয়। এই দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ১২৮৬ ডাউন অর্থাৎ যশবন্তপুর এক্সপ্রেস মেইন লাইনে চলে আসে। করমণ্ডলের দুটি লাইনচ্যুত বগিকে ধাক্কা মেরে সেটির পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়। রিপোর্টে বলা হয়ে মালগা়ড়ির সঙ্গে ধাক্কায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কয়েকটি কারমা লাইনচ্যুত হয়। কারমাগুলি যে ট্র্যাকে পড়েছিল সেখান দিয়েই যায় যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। তাতেই দুর্ঘটনা মারাত্মক আকার নেয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের গতি ছিল ঘণ্টায় ১২৮ কিলোমিটার। আর যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের গতি ছিল ১১৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট রেলওয়ে বোর্ডের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় রেলওযে লুপ লাইনগুলি তৈরি করে যেকোনও স্টেশন সংলগ্ন এলাকা। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে বেশি সংখ্যক ট্রেন ও ইঞ্জিন যাতায়াত করে। সাধারণ এই লাইনগুলির দৈর্ঘ্য হয় ৭৫০ মিটার। রিপোর্টে অনুমান করা হয়েছে করমণ্ড এক্সপ্রেস যাওয়ার জন্য মালগাড়িটিকে লুপ লাইনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেন হওয়ায় করমণ্ডলকে মেইন লাইন দিয়ে যাওয়ার জন্য সিগনার দেওয়া হয়। কিন্তু ট্র্যাকগুলি করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে লুপ লাইনের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। যেখানে আগে থেকেই দাঁড়িয়ে ছিল মালগাড়ি।

 

Share this article
click me!