অসম রাইফেলসের জওয়ান এল. ওয়াংশু বিস্ফোরণের পরে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার আহত সহকর্মীকে নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
বুধবার মণিপুর (Manipur blast) থাউবাল জেলার লিলং উসোইপোকপি সংগোমসাং-এ দুটি শক্তিশালী আইইডি (IED blasts) বিস্ফোরণ অসম রাইফেলসের (Assam Rifles) একজন জওয়ান নিহত (Assam Rifles jawan killed) এবং অন্য একজন আহত (another injured) হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে অসম রাইফেলসের ১৬তম ব্যাটালিয়নের সেনা টহল দেওয়ার সময় বিস্ফোরণগুলি ঘটে। সেসময় আরও কয়েকজন আধা সামরিক জওয়ান একটি জল সরবরাহ পাম্পের কাছে বিশ্রাম নিচ্ছিল।
অসম রাইফেলসের জওয়ান এল. ওয়াংশু বিস্ফোরণের পরে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার আহত সহকর্মীকে নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। লিলং ইউমখাইবামের স্থানীয় বিধায়ক আন্তাস খান এবং সিনিয়র অফিসারদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
বুধবারের ঘটনাটি মণিপুরে গত ৫০ দিনের মধ্যে চতুর্থ এই ধরনের বিস্ফোরণ, যদিও এই বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এছাড়াও, কোনও জঙ্গি সংগঠন বা কোনও শত্রু গোষ্ঠী এখনও বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। এর আগে ১৮ নভেম্বর, ১৫ ডিসেম্বর এবং ২৯ ডিসেম্বরের তিনটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই বিস্ফোরণগুলিতে কেউ আহত হয়নি, তবে সম্পত্তির ক্ষতি করেছিল।
মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে, উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে জঙ্গি কার্যকলাপ বেড়েছে। উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড এবং গোয়ার সাথে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ৬০ আসনের মণিপুর বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। উল্লেখ্য, এই বিস্ফোরণের একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মণিপুর সফর করেন।
মঙ্গলবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং ঐতিহ্যবাহী মণিপুরী প্রথা মেনে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সম্মানিত করেন। এদিন মণিপুরে তিনি ৪৮০০ কোটি টাকার ২২টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। মণিপুরে প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১৩ কোটির টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। ১৮৫০ কোটি টাকা ও প্রায় ২৯৫০ কোটি টাকার ৯টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির গুরুত্ব নিয়েও সরব হন মোদী। অতীতের বঞ্চনা ভুলিয়ে আধুনিক ভারতের মুখ হিসেবে তুলে ধরেন দেশের উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিকে। এদিন তিনি বলেন মণিপুর ক্রমশ ভারতের উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ শরিক হয়ে উঠছে। উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে রাজ্যের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, সবদিকেই মণিপুরের পাশে রয়েছে কেন্দ্র।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন দেশের উত্তরপূর্ব, যেখানে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর সেনাবাহিনী প্রথমবারের মতো স্বাধীন দেশের পতাকা উত্তোলন করেছিল এবং একে ভারতের স্বাধীনতার প্রবেশদ্বার বলে ঘোষণা করেছিল, সেই উত্তর পূর্ব এখন নতুন ভারতের স্বপ্ন পূরণের প্রবেশদ্বার হয়ে উঠছে।