৮৪ হাজার মানুষ প্রতি একটি আইসোলেশন বেড, করোনা লড়াইয়ে তাই জনতা কারফিউ ভরসা

  • প্রতি ৮৪ হাজার ভারতীয় পিছু একটাই আইসোলেশন শয্যা
  • প্রতি ৩৬ হাজার ভারতীয় পিছু একটাই কোয়ারান্টাইন শয্যা
  • স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে দেওয়া সাম্প্রতিক তথ্য 
  • করোনা মোকাবিলায় ভরসা সামাজিক দূরত্ব

ভারতে এখনও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে। তৃতীয় ধাপের দরজায় কড়া নাড়ছে বললে খুব একটা ভুল হবে না। এই পরিস্থিতিতে সামনে এল দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবারর সঙ্গে যুক্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।  গত ১৭ই মার্চ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য রীতিমত ভয় ধরানোর মতই। কারণ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যে বলা হয়েছে ১৩৫ কোটির দেশে প্রতি ৮৪ হাজার ভারতীয় পিছু আইসোলেশন বিভাগে একটি মাত্র শয্যা নির্ধারিত করা হয়েছে। আর  কোয়ারান্টাইনে প্রতি ৩৬ হাজার ভারতীয় পিছু নির্ধারিত একটি শষ্যা। যেখানে প্রতি ১১,৬০০  ভারতীয় জন্য নিযুক্ত রয়েছেন মাত্র এক জন চিকিৎসক। প্রতি ১,৮২৬ জন ভারতীয় পিছু মাত্র শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে । এই তথ্যই বলে দিচ্ছে একসঙ্গে প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হলে উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়ার কোনও রাস্তাই হাতে নেই প্রশাসনের। 

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জনতা কারফুর ডাক দিয়েছিলেন। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এই তথ্য সামনে আসার পরই প্রধানমন্ত্রী জনতা কারফুর ডাক দিয়েছিলেন। রবিবার জনতা কারফুর সাড়া দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও সূত্রের খবর। কারণ এই তথ্যই বলছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ যতই বাড়বে,  আরও ততই প্রকট হবে স্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল দশাটা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেছিলেন। সেখানেও বলা হয়েছিল যে তৃতীয় ধাপে পৌঁছানোর আগেই করোনার সংক্রমণের ওপর রাস টানতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরী। ।

Latest Videos

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের সঙ্গে যুক্ত এক চিকিৎসকের মতে ভারতে করোনাভাইরাসল মহামারীর  আকার নেওয়ার দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে। তৃতীয় ধাপের খুব কাছেই চলে গেছি আমরা। এই অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একমাত্র সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই অত্যন্ত জরুরী। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন তৃতীয় পর্যায় পৌঁছে গেলে পরিস্থিতি আয়ত্বে রাখতে হলে লকডাইনের পথে হাঁটা ছাড়া আর অন্য কোনও রাস্তা খোলা থাকবে না। ২০১৯ সালে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে নথিভুক্ত অ্যালোপেথিক চিকিৎসকের সংখ্যা ১,১৫৪,৬৮৬।  আর সরকারি হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা ৭,৩৯,০২৪টি। দেশের অধিকাংশ মানুষকে চিকিৎসা দেওয়ার পক্ষে যা অপ্রতুল। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বেসরকারি হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। রবিবার দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একলাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়ে হয়েছে ৩২৪  জন। এখনও পর্যন্ত করোনায় প্রাণ গেছে পাঁচ জনের।  

Share this article
click me!

Latest Videos

নওশাদ সিদ্দিকীকে জঙ্গি আখ্যা Saokat Molla-র, পাল্টা বড় পদক্ষেপ Naushad Siddiqui-র
'কেন্দ্র যদি একটু দয়া দেখায় তাহলে হুগলিতেও মেট্রো চলবে', আশাবাদী Rachana Banerjee
এ যেন লুকোচুরি খেলা! ক্ষণে ক্ষণে স্থান পরিবর্তন, এখনও অধরা বাঘিনী যমুনা | Jhargram Tiger News
শীতের রাতে যমুনার আতঙ্ক! একের পর এক জঙ্গল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাঘিনী | Bandwan Tiger News
'কুমিল্লা ছেড়ে চলে যা' কুমিল্লায় বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতোর মালা! | Bangladesh News |