এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India Privatization) বেসরকারীকরণের পর, তাঁর মন্ত্রকের প্রয়োজনীয়তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Union Civil Aviation Minister Jyotiraditya Scindia) সংসদে সেই আক্রমণ ঠেকালেন মহিলা পাইলটের (Female Pilots) সংখ্যা দিয়ে।
বিপাকে পড়েছেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Union Civil Aviation Minister Jyotiraditya Scindia)। রাষ্ট্রায়ত্ব উড়ান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India Privatization) বেসরকারীকরণের পর, অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের প্রয়োজনীয়তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বিরোধীরা। তবে, বিরোধীদের এই আক্রমণ তিনি ঠেকালেন এক গর্বের তথ্য দিয়ে। বুধবার বুধবার তিনি সংসদে জানান, মহিলাদের ক্ষমতায়নের (Women Empowerment) ক্ষেত্রে আরও একটি দিকে বিশ্বকে পিছনে ফেলল ভারত। ভারতে মহিলা পাইলটের (Female Pilots) সংখ্যা, দেশের মোট পাইলটের ১৫ শতাংশেরও বেশি। যা বিশ্বের অন্য কোনও দেশ নেই। জ্যোতিরাদিত্য জানিয়েছেন, ভারত ছাড়া অন্য সব দেশেই, গড়ে মোট পাইলটের মাত্র ৫ শতাংশ পাইলট মহিলা।
মঙ্গলবারই সংসদে অসামরিক বিমান পরিবহন সংস্থার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র (TMC MP Mahua Maitra)। সংসদকে তিনি জানান, ভারত এবং বাংলাদেশ ছাড়া বিশ্বের অন্য কোনও দেশেই বেসামরিক বিমান পরিবহনের জন্য আলাদা এবং স্বাধীন মন্ত্রক নেই। তিনি ২০১৪ সাল থেকে পরপর কয়েক বছরের বাজেটের তথ্য তুলে দেখিয়ে দেন, অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের মোট বাজেটের ৬০ থেকে ৯৫ শতাংশই ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার। এয়ার ইন্ডিয়াকে টাটা গোষ্ঠীর (Tata Group) হাতে তুলে দেওয়ার পর, অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকেটির বাজেট নেমে এসেছে ১,২৪০ কোটি টাকায়। এই অবস্থায় এই 'সামান্য বাজেটে'র মন্ত্রকটি পরিবহন মন্ত্রকের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়ে, একটি পরিবহনের বিষয়ে একটি সামগ্রিক মন্ত্রক গঠনের দাবি জানান মহুয়া।
তাঁর মন্ত্রক নিয়ে বিরোধীদের তৈরি এই অনিশ্চয়তায় অবশ্য বিশেষ প্রভাবিত হননি জ্যোতিরাদিত্য। আক্রমণের জবাবে, তিনি সংসদের সামনে তাঁর মন্ত্রকের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তিনি দাবি করেন, অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক, ভারতীয় অর্থনীতির (Indian Economy) অন্যতম মূল চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে। আগে, শুধুমাত্র ভারতের বড় শহরগুলিই বিমান যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত ছিল। আজ সেই ছবিটা পুরো পালটে গিয়েছে। বহু মাঝারি ও ছোট মাপের শহরেও বিমান বন্দর তৈরি করা হচ্ছে। গত ২০-২৫ বছরে উড়ান শিল্পেো বড় পরিবর্তন এসেছে। কর্মসংস্থান হয়েছে ব্যাপক পরিমাণে। ২০২০ সালের ৭ জুলাই অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের দায়িত্ব নিয়েছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। একসময়, তাঁর বাবা মাধবরাও সিন্ধিয়া (Madhavrao Scindia) কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী হিসাবে একই মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছিলেন।