গ্রিন করিডোরে ছুটছে অক্সিজেন এক্সপ্রেস , ২৪ ঘণ্টায় ১৫০ টন অক্সিজেন পৌঁছে দিল রেল

  • করোনা মোকাবিলায় অক্সিজেন গুরুত্বপূর্ণ
  • চাহিদা বাড়ছে দিল্লিসহ কয়েকটি রাজ্যে
  •  ২৪ ঘণ্টায় ১৫০ টন অক্সিজেন বহন 
  • বহন করেছে ভারতীয় রেল 
     

Asianet News Bangla | Published : Apr 24, 2021 2:54 PM IST / Updated: Apr 24 2021, 08:27 PM IST

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গে শুরু থেকেই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি অঙ্গ হিসেবে তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন এক স্থান থেকে অন্যত্র পৌঁছানের বিষয়টিকে রীতিমত গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারই একটি অঙ্গ হিসেবে দেশজুড়ে ছুটছে অক্সিজেন এক্সপ্রেস। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতীয় রেল প্রায় ১৫০ টন তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন ১০টি ট্যাঙ্কারে সরবরাহ করেছে। উত্তর প্রদেশ ও মাহারাষ্ট্রের করোনা রোগীদের অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে নাসিক লখনৌতে পৌঁছে গেছে অক্সিজেন এক্সপ্রেস। নাগপুর আর বারানসীতে অক্সিজেন ট্যাঙ্কার খালি করা হচ্ছে। সেখান থেকে সংলগ্ন এলাকাগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে বলেও জানান হয়েছে। 

প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, শনিবারই লখনৌ থেকে তৃতীয় অক্সিজেন এক্সপ্রেস চুলা হয়েছে।  আরও একাধিক ট্রেন রয়েছে পাইপলাইনে। অক্সিজেন এক্সপ্রেসের দ্রুত ও মসৃণ চলাচলের জন্য তৈরি হয়েছে গ্রিন করিডোর। মাহারাষ্ট্রের মতই অক্সিজেনের চাহিদা বেড়েছে দিল্লি ও অন্ধ্র প্রদেশে। ইতিমধ্যেই  দিল্লির বেশ কয়েকটি হাসপাতাল জানিয়েছে তাদের কাছে পর্যাপ্ত অক্সিজেন নেই। আর সেই কারণেই সংশ্লিষ্ট দুটি রাজ্যে অক্সিজেন এক্সপ্রেস যাতে চালানো যায় তার জন্য রেলের কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসেছে। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রের খবর বিখাপত্তনম ও বোকারোতে লোকোমোটিভে যে ট্যাঙ্কারগুলি ভরা হচ্ছে সেগুলি রেল পথে এক স্থান থেকে অন্যত্র পাঠান হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে অক্সিজেন এক স্থান থেকে অন্যত্র পাঠান যাচ্ছে বলেও দাবি করেছে রেল। 

উত্তর প্রদেশের অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে লখনউ ও বারানসীর মঝ্যে তৈরি হয়েছে গ্রিন করিডোর। সেই রাস্তা দিয়ে ৬২ কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে ছুটতে অক্সিজেন এক্সপ্রেস। ২৭০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে সময় লাগছে মাত্র ৪ ঘণ্টা ২০ মিনিট। মনে করা হচ্ছে সড়ক পথের তুলনায় দ্রুত গতিতে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে রেলপথের মাধ্যমে। গত বছর লকডাউনের সময়ও ভারতীয় রেল প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন অব্যাহত রেখেছিল। সাপ্লাই চেইন অক্ষুন্ন রেখেছিল জরুরি পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য। 

Share this article
click me!