ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে হিন্দুরা ছাড়া কেউ দোকান দিতে পারবে না এই মেলাতে। স্বাভাবিকভাবেই মুসলিমদের এই সিদ্ধান্তে টার্গেট করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, সেটা বোঝা যাচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশের আগ্রার শামশাবাদ রোডে অবস্থিত প্রাচীন রাজেশ্বর মহাদেব টেম্পল ট্রাস্টের বিতর্কিত ঘোষণা। তাদের দাবি শ্রাবণ মাসে মন্দির চত্বরে কোনও বিশেষ ধর্মের লোকেরা পুজোর সামগ্রীর দোকান তৈরি করতে পারবে না। এই ঘোষণা করেন মন্দিরের ট্রাস্টের সদস্য ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মকর্তা জিতেন্দ্র দাইপুরিয়া। তিনি বলেন মহাদেবের এই পবিত্র উৎসবে একটি বিশেষ ধর্মের মানুষ ফল, ফুল ও পূজার সামগ্রীর দোকান করেন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের কাছ থেকে এসব সামগ্রী কেনে। এই বছর এই নিয়ম বন্ধ করা হচ্ছে।
ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে হিন্দুরা ছাড়া কেউ দোকান দিতে পারবে না এই মেলাতে। স্বাভাবিকভাবেই মুসলিমদের এই সিদ্ধান্তে টার্গেট করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, সেটা বোঝা যাচ্ছে। তবে বিতর্ক তৈরি হয়েছে এই সিদ্ধান্তে। জিতেন্দ্র দাইপুরিয়া জানিয়েছেন, সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া থুতু কেলেঙ্কারির ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে একটি বিশেষ ধর্মের লোকেরা আমাদের অনুভূতি ও বিশ্বাসে আঘাত করার জন্য কাজ করে। শ্রাবণ মাসে লক্ষাধিক টাকা রোজগারের পরও যদি এই লোকেরা হিন্দু ধর্মকে কলুষিত করার চেষ্টা করে তাহলে তা বরদাস্ত করা হবে না।
শ্রাবণ মেলাতে দোকান বসাতে পারবে না এই সম্প্রদায়
মন্দিরের ট্রাস্টের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা আরও বলেন, যারা তালেবানী চিন্তাভাবনা করে, তাদের আমরা কীভাবে শ্রাবণ মাসে আমাদের মন্দিরের বাইরে ব্যবসা করতে দেব। তাই আমরা শুধু রাজেশ্বর মহাদেব মন্দির নয়, আগ্রার সমস্ত মন্দিরের প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি যে শ্রাবন মাসে কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের লোকদের দোকান বসাতে দেওয়া উচিত নয়। শ্রাবণ মাসে রাজেশ্বর মন্দিরে অনুষ্ঠিত মেলায় ছিনতাই ও লুটপাটের পাশাপাশি নারী শ্লীলতাহানির ঘটনার জন্য তিনি বিশেষ ধর্মের লোকদের দায়ী করেছেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, চলতি বছরের ১৮ জুলাই প্রাচীন রাজেশ্বর মহাদেব মন্দিরে বিশাল মেলার আয়োজন করা হবে।
লক্ষ লক্ষ ভক্ত ভগবান শিবকে দর্শন করেন
আগ্রার প্রতিটি কোণে ভগবান শিবের প্রাচীন মন্দির রয়েছে এবং শহরে প্রচুর সংখ্যক প্যাগোডা রয়েছে যেখানে শ্রাবণ মাসে লক্ষাধিক লোক মন্দিরে যান। মন্দির প্রশাসনের এই ঘোষণায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নগর এ কে সিং বলেছেন যে রাজেশ্বর মন্দিরটি একটি অতি প্রাচীন মন্দির। প্রতিটি মন্দিরের নিজস্ব রীতিনীতি এবং ঐতিহ্য রয়েছে। এমতাবস্থায় মন্দির প্রশাসন যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তারা এই সিদ্ধান্ত নিতে স্বাধীন। সেখানে প্রশাসনের কিছু করার নেই।