আকাশছোঁয়া জ্বালানির দাম। মঙ্গলবার ফের শহরে বেড়েছে পেট্রল ডিজেলের মূল্য। তেলপ্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি নতুনভাবে তেলের দাম নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিতেই তেলের দাম বাড়ে দেশের চার মেট্রো শহরে। মঙ্গলবার কলকাতায় তেলের দাম বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৯৪ টাকায়। পেট্রলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩.৪৯ টাকা। ডিজেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৮৭.১৬ টাকায়।
মঙ্গলবার পেট্রলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ২৩ পয়সা। ডিজেলের দাম বেড়েছে ২৫ পয়লা। মুম্বইতে আর মাত্র ২৯ পয়সা বাড়লেই পেট্রলের দাম ছোঁবে ১০০ টাকার ঘর। রাজধানী দিল্লিতে পেট্রলের দাম ৯৩.৪৪ টাকা, ডিজেলের দাম ৮৪.৩২ টাকা। মুম্বইতে সর্বাধিক দাম জ্বালানির। পেট্রলের দাম বাণিজ্যনগরীতে ৯৯.৭১ টাকা, ডিজেলের দাম ৯১.৫৭ টাকা।
একদিকে করোনা আতঙ্ক, অন্যদিকে ঘূর্ণীঝড় যশের হাত থেকে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা। এরই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি। সব মিলিয়ে প্রাণ জেরবার সাধারণ মানুষের। একদিন দুদিন অন্তর জ্বালানির দাম বাড়ায় বেশ ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।
ঠিক দুদিন আগে অর্থাৎ ২৩ তারিখ অর্থাৎ, রবিবার বেড়েছিল জ্বালানির দাম। সেদিন কলকাতায় পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ১৬ পয়সা বেড়ে হয়েছিল ৯৩ টাকা ২৭ পয়সা। অন্যদিকে, ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ২৭ পয়সা বেড়ে হয়েছিল ৮৬ টাকা ৯১ পয়সা।
উল্লেখ্য, জ্বালানি তেলের দাম বিশ্ব বাজারের অপরিশোধিত তেলের দামের ওপর নির্ভর করে। বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেশি হলে ভারতীয় বাজারে তেলের দাম বাড়তে পারে। কিন্ত বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম একই রয়েছে। অপরিশোধিত তেলের দামও নিন্মগামী। কিন্তু তারপরেও ভারতীয় বাজারে জ্বালানি তেলের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকার অত্যাধিক কর আরোপ করায় সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা বাড়ছে। কেন্দ্র ও রাজ্য পেট্রোল ও ডিজেলের খুচরো বিক্রির ওপর একাধিক শুল্ক আরোপ করে। পোট্রোর ওপর ৬০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে।
ডিজেলের শুল্কের পরিমাণ ৫৪ শতাংশ। যদি কোনও গ্রাহক এক লিটার পেট্রোলের ১০০ টাকায় কেনেন তাহলে ৩৩ টাকা পায় কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যও জ্বালানি তেলের ওপর সেস ও সারচার্জ বসায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে পাহাড় প্রমাণ এই করের বোঝার হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দেওয়া জন্য পেট্রোল ও ডিজেলকে জিএসটি তালিকাভুক্ত করা। কিন্তু আপাতত কেন্দ্রীয় সরকারের তেমন কোনও পরিকল্পনা নেই বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।