মহিলা সংরক্ষণ বিল দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন। এর আগেও অটল বিহারী বাজপেয়ী , মনমোহন সিং এই বিল পাশ করার চেষ্টা করেছিলেন।
সংসদের বিশেষ অধিবেশন শেষ হয়েছে। ঐতিহাসিক মহিলা সংরক্ষণ বিল যা ১২৮তম সংবিধান সংশোধনী বিল ২০২৩ হিসেবে পাশ হয়েছে। নতুন সংসদ ভবন সাক্ষী থেকেছে এই ঐতিহাসিক ঘটনার। প্রধানমন্ত্রী সংসদের দুই কক্ষের সমস্ত সাংসদদের বিল পাশের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু এটাই প্রথম নয়। প্রধানমন্ত্রী সর্বদাই মহিলা সংরক্ষণের পক্ষে কথা বলে এসেছেন। এবারও তিনি সেই এরই পথে হাঁটলেন।
মহিলা সংরক্ষণ বিল দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন। এর আগেও অটল বিহারী বাজপেয়ী , মনমোহন সিং এই বিল পাশ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তা বাস্তবে হয়নি। সফল হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এটা কিনও সাময়িক ঘটনা নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগে থেকেই মহিা সংরক্ষণের পক্ষে। ২০০০ সালে মোদী একটি সাংবাদিক বৈঠকে মহিলা সংরক্ষণ বিলের জন্য দরাজ সমর্থন জানিয়েছিলেন। মোদিআর্কাইভ, প্রধানমন্ত্রী মোদী সম্পর্কিত সংবাদের একটি আর্কাইভ, মহিলাদের সংরক্ষণের বিষয়ে মোদীর সাক্ষাৎকার সম্বলিত সেই পুরানো সংবাদপত্রের ছবি পোস্ট করেছে।
এই ঘটনাই স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে মোদী ২০০০ সালে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তখন থেকেই তিনি মহিলাদের জন্য সংসদ ও বিধানসভায় আসন সংরক্ষণের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। সেই সময় তিনি মহিলা সংরক্ষণের জন্য প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। সেই সময় সংসদীয় কমিটিতে বিলটি নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। কিন্তু সংসদে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে বিল পাশ হয়নি। ২৩ বছর মোদী দেশের মহিলাদের স্বপ্ন পুরণ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে লোকসভা ও রাজ্যসভায় মহিলা বিল পাশ হয়েছে। তবে এই বিল এখনই বা ২০২৪ সালের নির্বাচনে কার্যকর হবে না। ২০২৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মহিলা সংরক্ষণ বিল প্রায় ২৭ বছরের আলোচ্য বিষয়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়ার শাসনকাল ১৯৯৬ সালে এই বিল প্রথম সংসদে উঠেছিল। তা সাফল্যের মুখ দেখেছে প্রধানমমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শাসনকালে। যদিও মহিলা সংরক্ষণ নিয়ে সওয়াল করেছিলেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। বিলটি সেই সময়ও পাশ হয়নি। চেষ্টা করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।