প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর টুইট বার্তায় জানিয়েছেন চন্দ্রযান-২ এর উৎক্ষেপণ ভারতের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। চন্দ্রযান-২ এর সফল উৎক্ষেপণের পরে এক আবেগ ঘন টুইট বার্তায় এমনটাই জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, চন্দ্রযান-২ অভিযান ভারতীয় বিজ্ঞানীদের তথা ১৩০ কোটি ভারতীয়ের লক্ষে স্থির থাকার এক অনন্য নিদর্শন।
শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে চন্দ্রযান-২ এর উৎক্ষেপণের কিছু মিনিটের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে ইসরোর বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানান। সোমবার দুপুর ২টো ৪৩ মিনিটে শক্তিশালী জিএসএলভি এমকে-৩ রকেটের কাঁধে চেপে চন্দ্রযান-২ পাড়ি জমিয়েছে চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে।
টুইটারে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-২ এর সফল উৎক্ষেপণ ভারতের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। উৎক্ষেপণের সময়টিকে তিনি 'বিশেষ' মুহূর্ত বলে টুইটারে সম্বোধন করেন।
চন্দ্রযান-২ অভিযানে কোনও বিদেশি প্রযুক্তির ব্যাবহার হয়নি। এই তথ্যটিকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অভিযান 'চেতনা এবং হৃদয়ে' সম্পূর্ণ ভাবেই ভারতীয়।
তিনি আরও জানান, চন্দ্রযান-২ অভিযান আগামী দিনে দেশের ছাত্র এবং যুব-বিজ্ঞানীদের উৎসাহিত করবে। এরা দেশের মাটিতেই বিশ্বমানের বিজ্ঞান চর্চা এবং গবেষণা করার জন্য ব্রতি হবে। চন্দ্রযান-২ এর সাফল্যে আগামী দিনে ভারতের 'লুনার প্রোগ্রাম' বা চন্দ্রলোক কেন্দ্রিক গবেষণা আরও বিস্তার লাভ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। চাঁদ সম্পর্কিত বিভিন্ন নতুন তথ্য যা এতদিন অজানা ছিল, তা ভারতীয় গবেষকদের হাতে আসবে, যা লুনার প্রোগ্রাম কে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুধুমাত্র দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত বলেই নয়, চন্দ্রযান-২ অভিযান আরও একটি কারণেও নজির সৃষ্টি করেছে। এর আগে রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিন চাঁদের বুকে পদার্পণ বা 'সফট ল্যান্ডিং' করলেও সমস্ত ক্ষেত্রেই তা ছিল বিষুবরেখা এবং উত্তর মেরু বরাবর। এই প্রথম কোনও দেশ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে- চন্দ্রযান-২ এর হাত ধরে, যা এক কথায় নজিরবিহীন। ঠিক এই কারণেই আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক মহল অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছে সেপ্টেম্বরের ৪-৫ তারিখের দিকে। ওইদিন 'প্রজ্ঞান' বলে চন্দ্রযান-২ এর সঙ্গে থাকা ল্যান্ড রোভারটি সফল ভাবে অবতরণ করবে চন্দ্রপৃষ্ঠে।