কার্গিলের বিজয় দিবসের মঞ্চ থেকে পাকিস্তান ও বিরোধীদের তোপ নরেন্দ্র মোদী, অগ্নিবীরের পক্ষে সওয়াল

১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধে নিহত ভারতীয় সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নরেন্দ্র মোদী। বলেন, দেশের জন্য সেনাদের এই আত্মত্যাগ দেশ মনে রাখবে।

 

কার্গিল যুদ্ধের ক্ষতি থেকে পাকিস্তান কোনও শিক্ষা নেয়নি। এখনও সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিয়ে চলেছে। বিজয় দিবসের ২৫ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে লাদাখে গিয়ে সরাসরি নিশানা করেন পাকিস্তানকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ' পাকিস্তান যখনও কোনও দুঃসাহসিক কাজ করেছে তখনই পরাজয়ের মুখোমুখি হয়েছে। তারা ইতিহাস থেকে কোনও শিক্ষা নেয়নি। ' কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিসৌধে দাঁড়িয়েই এই কথা বলেন নরেন্দ্র মোদী।

১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধে নিহত ভারতীয় সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নরেন্দ্র মোদী। বলেন, দেশের জন্য সেনাদের এই আত্মত্যাগ দেশ মনে রাখবে। সেনাদের অমর করে রাখবে। কার্গিল বিজয় দিবস আকারে সর্বগদাই তাদের কথা স্মরণ করা ববে। ২৬ জুলাই, ১৯৯৯ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনী লাগাখের কার্গিলে প্রায় তিন মাস ধরে পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তারপরই তারা জয় হাসিল করে। সেই ঘটনার নাম ছিল অপারেশন বিজয়। যুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের দিনটিতে কার্গিল বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

Latest Videos

বিজয় দিবসের মঞ্চ থেকেই অগ্নিবীর প্রকল্প নিয়ে বিরোধীদের নিশানা করেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, 'সেনার জন্য অগ্নিপথ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার। কয়েক দশক ধরে এটা নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে। বহু কমিটি তৈরি হয়েছে। সেই সব কমিটি সেনাকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য এই ধরনের সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছিল। ভারতীয় সেনার জওয়ানদের গড় বয়স বিশ্বের অন্য সব দেশের সেনা জওয়ানদের গড় বয়সের থেকে বেশি হওয়ায় উদ্বেগ তৈরি হচ্ছিল অনেক দিন ধরেই। কিন্তু সদিচ্ছার অভাবে এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ করতে পারেনি আগের সরকারগুলি।' তাঁর যুক্তি সেনায় তারুণ্যের প্রয়োজন, প্রাণশক্তির প্রয়োজন। তাই অগ্নিবীরের প্রয়োজন রয়েছে।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী মোদী একটি টানেল নির্মাণের জন্য "প্রথম বিস্ফোরণ" করেছিলেন যার লক্ষ্য হিমাচল প্রদেশ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের মধ্যে সর্ব-আবহাওয়া সংযোগ প্রদান করা। প্রধানমন্ত্রী লাদাখের দ্রাস থেকে দূরবর্তী শিনকুন লা টানেল নির্মাণের শুরুকে চিহ্নিত করে "প্রথম বিস্ফোরণ" করেছিলে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন কার্গিল যুদ্ধে নিহত সেনা ও অফিসাদের স্মরণ করেন দ্রাস ওয়ার মেমোরিয়ালে। সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ,'কারগিল বিজয় দিবস আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সাহস এবং অসাধারণ বীরত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য একটি কৃতজ্ঞ জাতির জন্য একটি উপলক্ষ। আমি প্রত্যেক সৈনিককে শ্রদ্ধা জানাই যারা ১৯৯৯ সালে কার্গিলের চূড়ায় ভারত মাতাকে রক্ষা করার সময় সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছিলেন এবং মাথা নত করেছিলেন। তাদের পবিত্র স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা'।

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও শ্রদ্ধা জানান নিহত সেনা সদস্যদের। তিনি বলেন, 'আমি নিশ্চিত যে সমস্ত দেশবাসী তাদের ত্যাগ ও বীরত্ব থেকে অনুপ্রেরণা পাবে।'

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Read more Articles on
Share this article
click me!

Latest Videos

'নরেশ আগরওয়াল, মুকুল ঘোষ কে হয় আপনার মুখ্যমন্ত্রী?' চরম প্রশ্ন সুকান্তর | Sukanta Majumdar Today
‘অভয়ার জন্য আন্দোলনের প্রতিশোধ নিচ্ছেন Mamata Banerjee’ মমতাকে দুষলেন BJP নেত্রী Agnimitra Paul
ভেজাল স্যালাইন কাণ্ডে Mamata Banerjee-কে চরম তুলোধোনা Suvendu Adhikari-র, দেখুন | Suvendu Adhikari
North 24 Parganas News Today: আগুনের লেলিহান শিখার কবলে বিরিয়ানির দোকান! চরম আতঙ্ক Barrackpur-এ
তাপস রায়ের বিস্ফোরক প্রতিবাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা | Tapas Roy | Mamata Banerjee