মোদী বলেন, 'সবকা সাথ সবকা বিকাশ হল আমার সরকারের মূলমন্ত্র। আমি একটি সমর্থ ভারত তৈরি করতে চেষ্টা করছি। এটি উন্নয়নশীল ভারতে এরটি দুর্দান্ত ছবি।'
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার রাজস্থানের দৌসায় ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটারর দৈর্ঘ্য দিল্লি-মুম্বইয় এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম পর্বের উদ্ধোন করেন। এই রাস্তায় গাড়িতে করে দিল্লি থেকে জয়পুর পৌঁছাতে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লাগবে। আগে লাগত পাঁচ ঘণ্টারও বেশি। দিল্লি থেকে দৌসার লালসেটের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৪৬ কিলোমিটার। এদিন রাস্তার প্রথম পর্বের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, এজাতীয় উন্নত পরিকাঠামো বিনিয়োগ আসনে সাহায্য করবে। পূর্ব রাজস্থানের দৌসার ধানওয়ার গ্রামে একটি জনসমাবেশে ভাষণও দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখান থেকেই রিমোটের বোতাম টিপে রাস্তার উদ্বোধন করেন।
মোদী বলেন, 'সবকা সাথ সবকা বিকাশ হল আমার সরকারের মূলমন্ত্র। আমি একটি সমর্থ ভারত তৈরি করতে চেষ্টা করছি। এটি উন্নয়নশীল ভারতে এরটি দুর্দান্ত ছবি।'মোদী এদিন বলেন কোনও সরকার যখন হাইওয়ে, বন্দর, রেলপথ, অপটিক্যাল ফাইবারে বিনিয়োগ করে বা মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ খোলে তখন দেশের ব্যবসায়ী ও ছোট দোকানদাররা শক্তি পায়। দেশে বিনিয়োগ আগে। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও আকৃষ্ট হয়।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন এই রাজ্যে গতি বাড়িয়ে দেবে। কাজের জন্য যারা প্রায়ই দিল্লিতে যায় তারা সন্ধ্যার মধ্যে কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরতে পারবে। তিনি আরও বলেন এই এক্সপ্রেসওয়ের বরাবর চারটি গ্রামীণ হাট তৈরি করা হয়েছে। যেখানে স্থানীয় শিল্পীরা তাদের তৈরি জিনিস বিক্রি করতে পারবে। এক্সপ্রেসওয়েটি সারিস্কা জাতীয় উদ্যান, কেওলাদেও জাতীয় উদ্যান, রণথম্বোর জাতীয় উদ্যানের পাশাপাশি জয়পুর এবং আজমিরের মতো শহরগুলিকে জুড়বে। রাজস্থানের পর্যটনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে এই এক্সপ্রেসওয়ে- আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকরি, ভিকে সিং, গজেন্দ্র সিং। এছাড়াও ছিলেন অশোক গেহলট, হরিয়ানার মনোহর লাল খট্টর। দিল্লি -মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ে হবে ভারতের দীর্ঘতম এক্সপ্রেসওয়ে। এর মোট দৈর্ঘ্যে হবে ১৩৮৬ কিলোমিটার। দেশের জাতীয় রাজধানী থেকে বাণিজ্যিক রাজধানী যাওয়ার সময়ও অনেকটাই কমে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দাবি দিল্লি থেকে মুম্বই যেতে বর্তমানে সময় লাগে ২৪ ঘণ্টা। রাস্তা চালু হয়ে গেলে সময় লাগবে ১২ ঘণ্টা। অর্থাৎ ৫০ শতাংশ সময় কমে যাবে।এক্সপ্রেসওয়েটি দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের ছয়টি রাজ্যের মধ্য দিয়ে যাবে এবং কোটা, ইন্দোর, জয়পুর, ভোপাল, ভাদোদরা এবং সুরাতের মতো প্রধান শহরগুলিকে সংযুক্ত করবে। এটি 93 PM গতি শক্তি অর্থনৈতিক নোড, 13টি বন্দর, আটটি প্রধান বিমানবন্দর এবং আটটি মাল্টি-মডেল লজিস্টিক পার্ক (MMLPs) এবং নতুন আসন্ন গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর যেমন জেওয়ার বিমানবন্দর, নাভি মুম্বাই বিমানবন্দর এবং JNPT বন্দরকে সহায়তা করবে।