১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে সাফল্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। ঢাকার রমনা ময়দানে ভারতীয় সেনার কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী।
বাংলাদেশের (Bangladesh) মুক্তিযুদ্ধের (Bangladesh Liberation War) ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রতিবেশী দেশকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তিনি। আজ সকালে একটি টুইট (Tweet) করে দুই দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইকে স্মরণ করেছেন।
টুইটারে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘৫০তম বিজয় দিবস (50th Vijay Diwas) উপলক্ষে আমি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর (Indian Armed Forces) মুক্তিযোদ্ধা (Muktijoddhas), বীরাঙ্গনা এবং সাহসীদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করতে চাই। একসঙ্গে, আমরা অত্যাচারী শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি এবং তাদের পরাজিত করেছি। ঢাকায় রাষ্ট্রপতির উপস্থিতি প্রত্যেক ভারতীয়ের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।’
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে সাফল্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। ঢাকার রমনা ময়দানে ভারতীয় সেনার কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি (Pakistan) বাহিনী। এই দিনটিকে বাংলাদেশে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বিজয় দিবসের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ভারতের রাষ্ট্রপতি (President) রামনাথ কোবিন্দকে (Ram Nath Kovind) বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশ। সেই উপলক্ষ্যে বুধবার তিনদিনের সফরে বাংলাদেশ যান রাষ্ট্রপতি। এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানে বুধবারই ঢাকায় পা রাখেন তিনি।
আরও পড়ুন- সিডিএস হিসেবে বিপিন রাওয়াতের জায়গায় সেনাপ্রধান নারাভানে
বুধবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুসারে সকাল ১১টা ১৫ নাগাদ ঢাকায় পৌঁছান রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ ও তাঁর স্ত্রী সবিতা। বিমানবন্দরে তাঁদের স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন সস্ত্রীক বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আব্দুল হামিদ। ২১ বার তোপধ্বনি ও সেনা বাহিনীর রাষ্ট্রীয় অভিবাদনের পরে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ ৩২ নম্বর ধানমন্ডি রোডে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন এবং জাদুঘর পরিদর্শন করেন। মুজিবের দ্বিতীয়া কন্যা শেখ রেহানা রাষ্ট্রপতিকে বাড়ি ও জাদুঘর ঘুরিয়ে দেখান।
আরও পড়ুন- প্রতিশোধ নিল সেনা, গুলির লড়াইয়ে খতম দুই জঙ্গি
মধ্যাহ্নভোজের পরে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন হোটেলে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তারপর যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোবিন্দের সঙ্গে তাঁর কথার সময়ে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অন্য বর্ষীয়ান মন্ত্রীরা। ভারতীয় দলে ছিলেন বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, ঢাকায় ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এবং বিদেশ মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ অফিসারেরা। মুজিবুর রহমান জাদুঘর পরিদর্শনের জন্য রাষ্ট্রপতি কোবিন্দকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ভারতেও বেশ কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বের প্রমাণ হিসেবেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া দুই দেশই একসঙ্গে পালন করছে ‘মৈত্রী দিবস’৷