দেশের কোভিড ১৯ মহামারি ও সংক্রমণ রুখতে টিকাকরণ কর্মসূচি পর্যালোচনার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন মহামারি রুখতে এগিয়ে আসতে হবে জনগণকে। সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি টেস্টিং, ট্রেসিং আর ট্রিটমেন্টের ওপরেও জোর দিতে হবে। তিনি আরও বলেন কোভিড প্রটোকল মেনে চলা আর ভ্যাক্সিন নেওয়া-এই পাঁচটি পদ্ধতি অবলম্বন করেই করোনা মহামারিকে হারানো যাবে।
সংক্রমণ রুখতে আগামী ৬ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করোনা আচরণবিধি নিয়ে বিশেষ প্রচারের আয়োজন করা হবে। সেখানে মাস্কের ব্যবহার ১০০ শতাংশ করার ওপর জোর দেওয়া হবে। পাশাপাশি করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও স্যানিটাইজেশনের ওপরেও জোর দেওয়া হবে।
ক্যানিং পশ্চিমে কংগ্রেসের পরিচিত মুখ বিজেপিতে, কতটা পাল্টাবে ভোটের অঙ্ক ...
১১ বছর পর ফিরল দান্তেওয়াড়ার স্মৃতি, ছত্তিশগড়ে মাওবাদী হামলায় নিহত ২২ জওয়ান ...
আগামী দিনে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত পরীক্ষার সুযোগ সুবিধে বাড়ানো ও হাসপাতালে ভর্তি প্রক্রিয়া সহজ করার ওপরেও জোর দিয়েছেন তিনি। তিনি স্বাস্থঅযে সেবা অবকাঠামো, অক্সিজেনের সহজলভ্যতার দিকেও নজর দিয়েছেন। ভেন্টিলেটর ও ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকল নিয়েও আলোচনা করেছেন।
তিন রাজ্য- মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব ও ছত্তিশগড়ে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়েছে এদিনের বেঠকে। কেন এই তিন রাজ্যে করোনা-সংক্রমণ বৃদ্ধ পাচ্ছে কী করলে সংক্রমণ হ্রাস পরানো যাবে তাও খতিয় দেখবের বিশেষজ্ঞরা।
কনটেন্টমেন্ট জোনগুলির ওপর নজরদারী বাড়ানোর কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সংক্রমণ রুখতে রাজ্যগুলিকে কঠোর বিধিনিষেধ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এদিনও প্রধানমন্ত্রী নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব অর্থাৎ ২ গজ দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্কের ব্যবহারের ওপরে জোর দিয়েছেন। সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য মিউট্যান্ট স্টেনের ভূমিকা কতটা তা নিয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। টিকাকরণ নিয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সেখানে ভারতের টিকাগুলির ওপর বিদেশী দেশগুলি আস্থা রেখেছে বলেও জানান হয়েছে। এদিনের সভায় প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, মন্ত্রিপরিষগের সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিব উপস্থিত ছিলেন।