ন্যাসকমের রিপোর্টে বলা হয়েছে স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম ২০২০ -২০২১ সাল পর্যন্ত ক্রমবর্ধমান মূল্যায়নে প্রায় ২ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৩২০-৩৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মহামারির এই গুরুত্বপূর্ণ এই সেক্টরের বৃদ্ধিও ছিল চোখে পড়ার মত। স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমে প্রায় ৬.৬ লক্ষ সরাসরি চাকরি পেয়েছে পরোক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে ৩৪.১ লক্ষেরও বেশি মানুষের।
স্টার্ট-আপ সেক্টরের (Start-up Sector) জন্য দেশ সর্বদা গর্বিত হচ্ছে। ২০২১ সালের কর্মদক্ষতার জন্য ভারতের স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলির ভূয়সী প্রশাংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলেন।
ন্যাসকমের (NASSCOM) সভাপতি দেবযানি ঘোষের একটি টুইটের (Tweet) জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই তিনি বলেন, ভারতীয় প্রতিভার ক্রমাগত উদ্ভাবন, যা শিখছে আর একই সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতের স্টার্ট-আপ সেক্টরের জন্য দেশ গর্বিত। স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলির আরও ভালো ভবিষ্যতের জন্য এই সেক্টরকে তিনি শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন।
দেবযানী ঘোষ টুইটে একটি সংবাদ প্রতিবেদন শেয়ার করেছিলেন। যেখানে বলা হয়েছে দেশের স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলি ২০২১ সালে ২৪ বিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে। দেবযানি ঘোষ তার টুইটে আরও বলেছেন ২০২১ সালে স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলি রীতিমত ভালো ফলাফল করেছে। ৪০টি ইউনিকর্ন ও ১১টি আইপিও, ১৯৮টি এমঅ্যান্ডএ ডিল ৬.৬ লক্ষ প্রত্যক্ষ কাজ করেছে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রীয় রেল, যোগাযোগ, ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি দক্ষতা উন্নয়ন উদ্যোক্তা রাজীব চন্দ্রশেখরকেও তাই টুইটে ট্যাগ করেছিলেন।
ন্যাসকমের রিপোর্টে বলা হয়েছে স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম ২০২০ -২০২১ সাল পর্যন্ত ক্রমবর্ধমান মূল্যায়নে প্রায় ২ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৩২০-৩৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মহামারির এই গুরুত্বপূর্ণ এই সেক্টরের বৃদ্ধিও ছিল চোখে পড়ার মত। স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমে প্রায় ৬.৬ লক্ষ সরাসরি চাকরি পেয়েছে পরোক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে ৩৪.১ লক্ষেরও বেশি মানুষের।
২০২১ সালে ভারতের ১৮টি সেক্টরে প্রায় ৪২টি ইউনিকর্ন তৈরি হয়েছে। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের পরেই। নতুন এই সংস্থার মূল্য প্রায় ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। নায়েকা পেটিএম- সহ বেশ কয়েকটি স্টার্ট-আপ সংস্থা ইতিমধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জেও আত্মপ্রকাশ করেছে।
২০২১ সালে গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স (GII) দুই কদম এগিয়ে গেছে ভারত। করোনাভাইরাসের মহামারি, লকডাউনসহ একাধিক বাধা কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। ২০২১ সালের ইনডেক্স অনুযায়ী ভারতের স্থান ৪৬। গতবছরের তুলনা ২ কদম এগিয়েছে। অন্যদিকে ২০১৫ সালে ভারতের স্থান ছি ৮১ নম্বরে। কিন্তু মহামারির এই সময়ই ভারতের এই শ্রীবৃদ্ধি দেশের স্থিতাবস্থা, স্বনির্ভরতার ক্ষেত্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আত্মনির্ভর ভরত গঠনেও স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে ।
GII ব়্যাঙ্কিংএ ক্রমাগত উন্নতির কারণ বিশাল নলেজ ক্যাপিটাল, স্টাটআপ ইকো সিস্টেম, বৈজ্ঞানিক বিভাগ, পারমাণবিক শক্তি, বায়োটেকনোলজি, মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্রমাগত উদ্ভাবনী শক্তি। যা সমগ্র ইকোসিস্টেমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করছে।
নীতি আয়োগ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিন যানবাহন, বায়োটেকনোলজি, ন্যানো প্রযুক্তি স্থান, বিকল্প শক্তি উৎস সন্ধানে নেতৃত্ব প্রদান করছে। নীতি আয়োগের উদ্যোগেই তৈরি হয়েছে ইন্ডিয়া ইনোভেশন ইনডেক্স। যা ভারতের সমস্ত রাজ্যে উদ্ভাবনের বিকেন্দ্রীকরণে দিকে একটি বড়পদক্ষেপ গিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী ব়্যাঙ্কিয়ে ভারতের অবস্থান পর্যবেক্ষণ আর মূল্যায়নের ওপর জোর দেওযা হয়েছে নীতি আয়োগের তত্ত্বাবধানেই। জীবন আর জীবিকা বাঁচাতে জাতীয় অর্থনীতির তত্ত্বাবধানে।