CII Annual Session 2021এক আত্মনির্ভর ভারত গঠনের ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন পূর্ব নির্ধারিত কর একটি ভুল পদক্ষেপ ছিল।
সিআইআই (CII) বার্ষিক অধিবেশনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই তিনি বলেছেন, 'পূর্ব নির্ধারিত কর, অতীতের একটি ভুল'। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেন, ভারত সরকার সংস্কারের গতিপথকে আরও শক্তিশালী করার জন্য শিল্পপতিদের সঙ্গে কাজ করবে। আত্মনির্ভর ভারত গঠন করাই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রথম আর প্রধান লক্ষ্য। সিআইআই বার্ষিক সম্মেলনে এবারের মূল বিষয় হল স্বাধীনতার ৭৫ বছর: সরকার আর ব্যবসা আত্মনির্ভর ভারত গঠনের জন্য একই সঙ্গে কাজ করছে।
'খেলা হবে দিবস' পালনে তীব্র আপত্তি, ১৬ অগাস্ট ঘিরে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘাতের পথে বিজেপি
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন পূর্ব নির্ধারিত কর বন্ধ করা বর্তমান সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আগের সরকারের একটি ভুল। কেন্দ্রীয় সরকার ২০২১ সালের মে মাসের আগেই ভারতীয় সম্পদের পরোক্ষ হস্তান্তের জন্য় উত্থাপিত কর বন্ধ করে দেয়। যদি কোম্পানিগুলি মুলতুবি মামলা প্রত্যাহার করে নেয় আর কোনও অঙ্গিকার দেয় যে ক্ষতিপুরণ দাবি করা হবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন 'আমরা অতীরের ভুল দূর করেছি পূর্ববর্তী দৃষ্টিভঙ্গি কর অপসারণের মাধ্যমে।' এটি সরকার আর শিল্প সংস্থাগুলির মধ্যে আস্থা বাড়াবে।
করোনাকালে উলটপুরাণ ভগবানের দেশে, টিকা নেওয়ার পরেও ৪০ হাজার মানুষ সংক্রমিত কোভিড ১৯-এ
২০১২ সালে আগের ইউপিএ সরকার বিতর্কিতভাবে কর আইনকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরিবর্তন করে। তাতে বলা হয়েছিল যেসব ভারতীয় সংস্থাগুলি আন্তর্জাতিক সংস্থার থেকে সম্পদ নিয়ে আসবে তাদের বিপুল পরিমাণে অর্থ প্রদান করতে হবে। এর পরেই সরকার আই শিল্প সংস্থাগুলির মধ্যে তীব্র আইনি লড়াই শুরু হয়েছিল।
অভিষেকের সঙ্গে মিটিং করে সত্যি কি শাস্তির মুখে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, কী বলছে বিজেপি
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও বলেছেন আগের সরকার ঝুঁকি নিয়ে ভয় পেয়েছিল। কিন্তু এক সরকার জনগের স্বার্থে সবকিছু করতে প্রস্তুত। তাই ঝুঁকি নিয়ে আর বিরোধীদের তীব্র বিরোধিতার মধ্যেও দেশে জিডিপি চালু করেছে। আর সেই সুফলও ভোগ করছে। কারণ বর্তমান সরকার রেকর্ড পরিমাণ জিএসটি আদায় করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আরও বলেন কেন্দ্রীয় সরকার ভারতীয় সংস্থাগুলির ওপর আস্থা রাখার ফলে ব্যবসা করা অনেক সহজ হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন আগে বিদেশি পণ্যের ওপর প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তিন্তু এখন দেশীয় ব্র্যান্ডগুলি ভারতের পাশাপাশি বিদেশের বাজারও দখল করতে পেরেছে। ভারতের তৈরি পণ্য নিয়ে দেশবাসীর অনুভূতি তৈরি হয়েছে।