রাষ্ট্র সংঘের মরুভূমি, ভূমির অবনতি আর খরা বিষয়ক একটি উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে বেশ কতগুলি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ভারত। গত ১০ বছরে দেশটি প্রায় ৩ মিলিয়ন হেক্টর বনভূমি বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। যা দেশটির মোট আয়তনের একের চার ভাগ। প্রধানমন্ত্রী প্রথমে বলেন মানুষের জীবন আর জীবিকা নির্বাহের জন্য ভূমি হল একটি মৌলিক ক্ষেত্র। মানুষের জীবনের সঙ্গে মাটির সংযোগ নাড়ির। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি মাটি বা স্থলভাব অবক্ষয় হয়েছে। এখনই যদি তা নিয়ন্ত্রণে আনা না যায় তাহলে অবিলম্বেই আমাদের সমাজ, অর্থনীতি, খাদ্য সুরক্ষা, স্বাস্থ্য ও জীবন যাত্রায় তার প্রভাব পড়বে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন ভারতীয়রা বরাবরই পবিত্র পৃথিবীর ভূমিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে। মাটি ভারতীয়দের কাছে মাতৃসময়। গোটা বিশ্বের কাছে বিষয়টিতে তুলে ধরতে ভারত নেতৃত্ব দিচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন মাটির অবক্ষয় উন্নয়নশীল বিশ্বের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এটি পুনরুদ্ধার কৌশলগুলি বিকাশে ভারত সহযোগী উন্নয়নশীল দেশগুলিকে সাহায্য করছে। মাটি অবক্ষয় রুখতে ও বিষয়টি নিয়ে সচেতন করতে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রচারের জন্য ভারত একটি উৎকর্ষ কেন্দ্র তৈরি করছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন মাটি অবক্ষয় রুখতে বেশ কয়েকটি অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ভারত। যার একটি হল কচ্ছের রানের বান্নি অঞ্চল। গুজরাটের প্রত্যন্ত এই অঞ্চলটিতে মাটি অবক্ষয় হচ্ছে। এই এলাকায় কম বৃষ্টিপাত হয়। এই অঞ্চলে জমি পুনঃস্থান, তৃণভূমি বিকাশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা মাটি অবক্ষয় রুখে দিতে সাহায্য করবে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ২ মিলিয়ন হেক্টর অবক্ষয় যোগ্য জমি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য নিয়েছে ভারত।