আয় বাড়বে, বিনিয়োগ আসবে। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে নাগরিকদের ক্রয়ক্ষমতাও। কেন্দ্রীয় বাজেটকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, এই বাজেট দেশের আর্থিক ব্যবস্থা ও ক্রেডিট ফ্লো-কে আরও শক্তিশালী করবে। দেশের বর্তমান চাহিদা ও মানুষের কয়েক দশকের প্রত্যাশা মিটবে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী হিসেবে শনিবার সংসদে দ্বিতীয় বাজেট পেশ করলেন নির্মলা সীতারমণ। লোকসভায় ঝাড়া আড়াই ঘণ্টা ভাষণ দিয়ে গড়লেন নজিরও। কিন্তু এবারের বাজেট কেমন হল? মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। ভারতীয় রেল, এলআইসি, এয়ার ইন্ডিয়ার মতো সংস্থার নামে হ্যাশট্যাগ দিয়ে দীর্ঘ টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থারগুলি ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। দেশের প্রথম মহিলা অর্থমন্ত্রীর বাজেটকে মোদী সরকারের মতো বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন রাহুল গান্ধী। নির্মলা সীতারমণকে তাঁর কটাক্ষ, 'আড়াই ঘণ্টা ধরে বাজেট পেশ করেছেন, এটা ঐতিহাসিক। গোটা বাজেটে একই কথার বারবার পুনরাবৃত্তি করেছেন, কথা বলতে গিয়ে থমকে গেলেন অর্থমন্ত্রী। দেশের মূল সমস্যা বেকারত্ব। কিন্তু যুবসমাজ কীভাবে চাকরি পাবেন, তার পথ দেখাতে পারেননি অর্থমন্ত্রী। অনেক কৌশলের কথা বললেন, কিন্তু নির্দিষ্ট কোনও ভাবনা নেই।' কিন্তু ঘটনা হল, বাজেট নিয়ে বিরোধীদের যাবতীয় সমালোচনাই নসাৎ করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? তাঁর প্রতিক্রিয়া, 'আমি বিশ্বাস করি, এই বাজেটে আয় ও বিনিয়োগ বাড়বে। এরফলে চাহিদা ও ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে। দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ক্রেডিট ফ্লো শক্তিশালী।' প্রধামন্ত্রীর আরও বক্তব্য, 'এই বাজেট দেশের বর্তমান চাহিদা মেটানোর পক্ষে সহায়ক হবে। মানুষের কয়েক দশকের প্রত্যাশা পূরণ হবে।'
উল্লেখ্য, এবার বাজেটে বিলগ্নীকরণের পথে আরও একধাপ এগিয়েছে মোদী সরকার। এলআইসি-র মতো লাভজনক সংস্থার শেয়ারও বিক্রি করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। আগামী অর্থবর্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থগুলির বিলগ্নীকরণ করে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ২.১ লক্ষ টাকা।