যোগী আদিত্যনাথ সরকার এদিন স্পষ্ট জানিয়েছে নয়াদিল্লিতে বায়ুদূষণ বাড়াচ্ছে পাকিস্তানের দূষিত হাওয়া। এমনই আজব দাবি উত্তরপ্রদেশ সরকারের।
দিল্লির (Delhi) বায়ুদূষণের (Air Pollution) পিছনে রয়েছে পাকিস্তানের হাত (Polluted air from Pakistan)। এমনই আজব দাবি উত্তরপ্রদেশ সরকারের(Uttar Pradesh government)। এই সাফাইয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই আদালতের কড়া ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে। সুপ্রিম কোর্টে এদিন দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ে শুনানি চলাকালীন এমনই আজব দাবি করল উত্তরপ্রদেশ সরকার। সেই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নয়াদিল্লির দূষণের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই সেরাজ্যের কলকারখানার।
যোগী আদিত্যনাথ সরকার এদিন স্পষ্ট জানিয়েছে নয়াদিল্লিতে বায়ুদূষণ বাড়াচ্ছে পাকিস্তানের দূষিত হাওয়া। সিনিয়র অ্যাডভোকেট রঞ্জিত কুমার, উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষে শীর্ষ আদালতে সওয়াল জবাবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি এদিন বলেন রাজ্যের কলকারখানাগুলি থেকে বায়ু দিল্লির দিকে ধাবিত হয় না। রঞ্জিত কুমার দিল্লির বাতাসের গুণমানকে প্রভাবিত করার জন্য পাকিস্তানের দিক থেকে আসা দূষিত বায়ুকে দায়ী করেন।
সুপ্রিম কোর্টে এদিন প্রধান বিচারপতি এন ভি রমানার নেতৃত্বে দিল্লির বায়ুদূষণের শুনানি চলছিল। সেখানে উত্তরপ্রদেশের বক্তব্য শুনে রীতিমত ক্ষুব্ধ হন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন তাহলে কি এবার পাকিস্তানের কলকারখানা বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের পক্ষ থেকে।
Health Tips- সাবধান, ক্রমশ বায়ুতে বাড়ছে দূষণের মাত্রা, সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
এর আগে, প্রধানবিচারপতি এন ভি রমনার নেতৃত্বে বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে দিল্লির দূষণ মামার শুনানি হয়। সেই বেঞ্চই উত্তর প্রদেশে, হরিয়ানা, পঞ্জাব ও দিল্লির সংশ্লিষ্ট সচিবদের নির্দেশ দিয়েছিল তারা গঠিত কমিটির সামনে তাদের মতামত জানানোর জন্য উপস্থিত থাকবেন। তবে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে দিল্লি সরকারকে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে। শুনানির আগেই দিল্লি সরকার দাখিল করা হলফনামায় বলেছে, দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য লকডাউনের মত পদক্ষেপ নিতে তারা প্রস্তুত রয়েছে।
শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের দাখিল করা হলফনামা ও শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট এই সিদ্ধান্ত পৌঁছেছে দিল্লির এই ভয়ঙ্কর দূষণের জন্য দায়ি নির্মাণ কার্যকলাপ, শিল্প পরিবহণ, বিদ্যুৎ ও যানচলাচল। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী রাজ্যের কৃষকরা যে খড় বা ফসের বিচালি পোড়াছে সেটিও বায়ু দূষণের একটি কারণ। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি জরুরি বৈঠক ডাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকার কী কী পদক্ষেপ নিতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে। এখনও পর্যন্ত খড় পোড়ানোর বিষয়ে রাজ্য সরকারগুলি বিস্তারিত হলফনামা গিয়েছে। তবে এই খড় পোড়ানোর ঘটনা দুমাসই হয়ে থাকে। বর্তমানে পঞ্জাব ও হরিয়ানাতে প্রচুর পরিমাণে ফসলের অংশ পোড়ানো হচ্ছে বলে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের।