সম্প্রতি হিন্দু-আনডিভাইডেড ফ্যামিলি প্রপার্টিতে মেয়েদের পক্ষে রায় দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এই রায় অনুযায়ী, পৈতৃক সম্পত্তিতে সমান অধিকার রয়েছে মেয়েদেরও। এমনই জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তবে শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্তের আগেই সম্পত্তিতে মেয়েদের সমানাধিকারের পক্ষে হেঁটেছিলেন দেশে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। ২০১৮ সালের ৯ জুলাই সরকারি জীবন বিমা সংস্থা এলআইসি-র জীবন অক্ষয় (ভি ওয়ান) পলিসি করান প্রণব মুখোপাধ্যায়। তার নমিনি করেন তাঁর দুই সন্তান, পুত্র অভিজিৎ এবং কন্যা শর্মিষ্ঠাকে। কারো কম, কারো বেশি নয়, পলিসির ৫০ শতাংশ করে ভাগিদার করে যান ছেলে ও মেয়েকে। এলআইসি-র নিয়ম অনুযায়ী, সোমবার প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি বিমা সংস্থার সঙ্গে দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির আর্থিক লেনদেন ‘ফ্রিজ’ হয়ে গিয়েছে। এখন আইন অনুযায়ী প্রণববাবুর দুই সন্তান অভিজিৎ এবং শর্মিষ্ঠা চাইলেই সেই টাকা তুলে নিতে পারবেন।
২০১৫ সালের ১৮ আগস্ট প্রণববাবু স্ত্রী শুভ্রা মুখোপাধ্যায় প্রয়াত হন। ৫ বছর পর সেই আগস্টেই বাবাকে হারিয়ে এবার অভিভাবকহীন হলেন অভিজিৎ ও শর্মিষ্ঠা। এই শূন্যস্থান অপূরণীয়। তবে বাবা হিসাবে হাজার কাজের মধ্যে সন্তানদের আগলে রাখতেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। ছেলে-মেয়েদের প্রতি নিজের নৈতিক দায়িত্ব পালন করে গেলেন শেষ বয়সেও।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ১৯৫৬ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত, প্রণব মুখোপাধ্যায়ই দেশের একমাত্র রাষ্ট্রপতি যিনি সরকারি জীবন বিমা সংস্থাএলআইসি-তে পলিসি করিয়েছিলেন। পলিসি করার পর প্রতি তিন মাস অন্তর এই স্কিমে পেনশনও তুলেতেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। দিল্লির পার্লামেন্ট স্ট্রিটের এসবিআই শাখায় প্রণব মুখোপাধ্যায়ের যে অ্যাকাউন্ট ছিল, সেখানেই জমা হত টাকা।