রাষ্ট্রীয় রাইফেলের ফায়ারপাওয়ারে সিআরপিএফ-কে আনার প্রস্তুতি; তৈরি হচ্ছে অপারেশন প্যাটার্ন

হঠাৎ করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর 'রাষ্ট্রীয় রাইফেল' সরানো হবে না। বিভিন্ন ধাপে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এটা সম্ভব যে প্রাথমিকভাবে 'রাষ্ট্রীয় রাইফেলস'-এর একটি ব্যাটালিয়ন চারটি কোম্পানির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে।

Parna Sengupta | Published : Aug 30, 2023 1:25 PM IST

জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। জানা গিয়েছে 'রাষ্ট্রীয় রাইফেল'-এর ফায়ারপাওয়ারে 'সিআরপিএফ' আনার কথা ভাবা হচ্ছে। কিছু সময় ধরে সেনাবাহিনীর অপারেশন প্যাটার্নে 'সিআরপিএফ'কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। CSRV এবং JCB-এর মতো বুলেট প্রুফ যান দেশের বৃহত্তম কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী 'সিআরপিএফ'-কে দেওয়া হচ্ছে। সিআরপিএফকে চাকাযুক্ত সাঁজোয়া উভচর (WHAP) সরবরাহ করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। হঠাৎ করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর 'রাষ্ট্রীয় রাইফেল' সরানো হবে না। বিভিন্ন ধাপে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এটা সম্ভব যে প্রাথমিকভাবে 'রাষ্ট্রীয় রাইফেলস'-এর একটি ব্যাটালিয়ন চারটি কোম্পানির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। যাইহোক, এই বিষয়ে সিআরপিএফের মৌলিক কাঠামো এবং নীতিতেও কিছু পরিবর্তন সম্ভব।

জম্মু ও কাশ্মীরে 'রাষ্ট্রীয় রাইফেল' কর্মীদের সংখ্যা পর্যায়ক্রমে কমানো হতে পারে। কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী 'সিআরপিএফ', যারা দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদী ও মাওবাদীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে, তাদের 'আরআর'-এর মতো ভূমিকায় এগিয়ে আনার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীরে মোতায়েন করা CRPF ব্যাটালিয়নকে 'রাষ্ট্রীয় রাইফেলস'-এর আদলে 'এরিয়া অফ রেসপন্সিবিলিটি' (AOR) স্থাপন করতে বলা হয়েছে।

এই ধরনের মহড়ার জন্য শ্রীনগর থেকে কিছু ব্যাটালিয়ন পাঠানোর কথা বলা হচ্ছে যেখানে 'আরআর' মোতায়েন রয়েছে। এই পরিবর্তনের উদ্দেশ্য হল CRPF এর মূল দায়িত্ব অর্থাৎ 'অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা গ্রিড'কে শক্তিশালী করা। অনেক সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। যদি 'রাষ্ট্রীয় রাইফেলস'-এর সংস্থাগুলি কমানো হয় তবে সেই পরিস্থিতিতে সিআরপিএফের ভূমিকা বাড়বে। চিনের সঙ্গে সীমান্তে চলমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে 'আরআর'-এর কিছু ইউনিট জম্মু ও কাশ্মীরের বাইরে পাঠানো হতে পারে।

সূত্রের মতে, সিআরপিএফকে 'রাষ্ট্রীয় রাইফেল'-এর অপারেশনালের মধ্যে আনতে হলে প্রধানত বাহিনীর গোয়েন্দা নেটওয়ার্কে বড় ধরনের সংস্কার করতে হবে। প্রতিটি ব্যাটালিয়নে সেনার সংখ্যা যাতে সম্পূর্ণ থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। নিজস্ব কার্যকরী গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক থাকা ছাড়াও জম্মু ও কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর আরও ক্ষমতা রয়েছে। সেনাবাহিনী নিজেরাই যেকোনো সন্ত্রাসী অভিযান পরিচালনা করতে পারে। সেনাবাহিনীর কাছে ইন্টারনেট বা ফোন কথোপকথন পর্যবেক্ষণ করার জন্য যথেষ্ট সরঞ্জাম রয়েছে।

অন্যদিকে, সিআরপিএফকে প্রতিটি ক্ষেত্রে একটি আদেশ নিতে হবে। এছাড়াও, যদি সে কোন ইনপুট পায়, তাহলে তাকে JKP এর সাথে শেয়ার করতে হবে। আপনি যদি মোবাইলের অবস্থান জানতে চান বা ট্যাপ করার কোনও বিষয় থাকে তবে আপনাকে JKP-এর সাহায্য নিতে হবে। আর্মি সিও এবং সিআরপিএফ কমান্ড্যান্টের জন্য বরাদ্দ 'ইন্টেল' বাজেটের মধ্যেও বিশাল পার্থক্য রয়েছে। এই বাহিনীর বর্তমানে নিজস্ব গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক রয়েছে, তবে এটি জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ বা সেনাবাহিনীর মতো শক্তিশালী নয়। এই কারণেই বেশিরভাগ অনুষ্ঠানে সিআরপিএফকে অংশীদারের ভূমিকায় রাখার চেষ্টা করা হয়।

Share this article
click me!